মাটিরাঙ্গার তাইন্দং হয়ে সীমান্ত সড়ক খুবই প্রয়োজনীয়
দৈনিক খাগড়াছড়ি
প্রকাশিত: ৯ এপ্রিল ২০২১
ছবি- সংগৃহিত।
ফিচার প্রতিবেদক
মাটিরাঙ্গা উপজেলার ভারত সীমান্তবর্তী তাইন্দং হতে পারে খাগড়াছড়ি জেলার ব্যবসায়ের অন্যতম প্রাণকেন্দ্র। স্থলবন্দরের জন্য জেলার রামগড়ের পরে হতে পারে বাংলাদেশের আরেকটি স্থলবন্দর ও পর্যটন এলাকা। নিরাপত্তা বলয় তৈরী করার জন্য ফেনী নদীর পাড় ঘেষে সীমান্ত সড়ক তৈরী করে হতে পারে সন্ত্রাস মুক্ত এবং মুক্ত বানিজ্যের অন্যতম রুট।
তাইন্দং ঐতিহাসিক কাল থেকে একটি সমালোচিত ও সন্ত্রাসীদের সবচেয়ে আক্রোশের জায়গা হিসেবে পরিচিত। ফেনী জেলার পরই মুলত রামগড়, গুইমারা, ও মাটিরাঙ্গা হয়ে খাগড়াছড়ি জেলা যেতে হয়। আবার তাইন্দং মাটিরাঙ্গা উপজেলা সদর থেকে থেকে ৩৯ কিলোমিটার ভেতরে।
১৯৮৪ সালের আগে রামগড় মহকুমা ছিল। কিন্তু কালক্রমে রামগড় উপজেলায় পরিনত হয়। রামগড় আজ কালের স্বাক্ষী হয়ে ঐতিহাসিক অনেক কিছুর স্বাক্ষী হয়ে আছেন। আর তাইন্দং যেতে হলে মাটিরাঙ্গা, বেলছড়ি, গোমতি, রামছিড়া, তবলছড়ি তারপর তাইন্দং। তাইন্দং থেকে আবার বি-টিলা পড়ে, সেখানে আর বাংলাদেশের মানুষের বসবাস নাই বললে চলে। এরপর পানছড়ির লোহগাং হয়ে দীঘিনালা ও সাজেক।
সাজেক সম্পর্কে অনেকে বাহিরের অনেক কিছুই জানলেও ভেতরের অনেক ঘটনাই জানেন না। সাজেক বাংলাদেশের পর্যটনের জন্য বিখ্যাত। বাঘাইছড়ি উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন এর মধ্যে ৪টি ইউনিয়নে বাঙ্গালী বসবাস থাকলে ও ৪টি ইউনিয়নে কোন বাঙ্গালী বসবাস নাই এবং সাজেক থেকে তাইন্দং এর দূরত্ব বেশী না, মাত্র ৪০ কিলোমিটার হবে। সাজেকের পর ভারতের মিজোরাম। সেখানে চাকমাপাড়া নামে একটি এলাকা আছে। সেখানে ভারতের নিয়ন্ত্রন থাকলেও বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রন নেই। সেখান দিয়ে চাকমা সহ উপজাতিরা অনায়াসে বাংলাদেশে আসতে পারেন এবং তারা বাংলাদেশে সুবিধা গ্রহন করে ভারতে গিয়ে ছেলে মেয়েকে লেখাপড়া করান।
আজ পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি সহ সকল কিছু ঐ এলাকা থেকে হয়ে আসছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের বাঘাছড়ি, দিঘীনালা, পানছড়ি তাইন্দং উপজাতিদের সন্ত্রাসীদের প্রশিক্ষন সহ সকল অপকর্ম এই সব জায়গা থেকে হয়ে থাকে। আক্রমন সহ তাদের প্রশিক্ষন এই সব জায়গা দিয়ে হয়েছে। ভারত বর্ডার ঘেষে রাস্তা করলেও বাংলাদেশ বর্ডার থেকে ৫ কিলো থেকে ১০ কিলো দূর দিয়ে রাস্তা করেছে যার ফলে উপজাতি সন্ত্রাসী বাহিনী সহজে অস্ত্রবহন, তাদের প্রশিক্ষন ইত্যাদি অনায়াসে করতে পারছে। রামগড় শহরটি মুলত ফেনী নদীকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠছে, রামগড়ে স্থলবন্দর হয়েছে, ফেনী নদীর উপর ব্রীজ হয়েছে। যখন রাস্তা ছিল না তখন মানুষ ফেনী নদী দিয়ে যাতায়াত করে তাইন্দং ও তবলছড়ি গিয়ে ফলমুল, বাশ-কাঠ ইত্যাদি এনে ব্যাবসা করতেন। তাই তবলছড়ির প্রায় পরিবার ফেনী জেলার । ফেনী নদীর উৎপত্তি মুলত বি-টিলা থেকে, এখানে ফেনী নদী শেষ ।
ফেনী নদী শেষ হলেও বাংলাদেশ বর্ডার শেষ না। এর পরই পানছড়ি সীমানা শুরু এবং লোগাং শুরু যেখান থেকে শান্তিবাহিনী আত্মসমর্পন করেছে। এর পর বাঘাইছড়ির সাজেক এখান দিয়ে প্রায় ৩০ কিলোমিটার বাঙ্গালী বসবাস না থাকায় শুধু উপজাতি জনগোষ্টি বসবাস করে। আর ভারতের বর্ডার ঘেষে রাস্তা থাকলেও বাংলাদেশের রাস্তা বর্ডার ঘেষে ১০ থেকে ১৫ কিলো হবে। বাকী রাস্তা বর্ডার থেকে প্রায় ১০ থেকে ১৫ কিলো দুর দিয়ে।
তাইন্দং থেকে রামগড়ের দুরত্ব ৩০ কিলো কিন্তু রামগড় থেকে মাটিরাঙ্গা দুরত্ব ৩২ কিলোমিটার এবং মাটিরাঙ্গা থেকে তাইন্দং এর দুরত্ব প্রায় ৩৯ কিলোমিটার তাই বলা যায় রামগড় থেকে তাইন্দং দুরত্ব প্রায় ৭১ কিলোমিটার এবং সময় লাগে ৪ থেকে ৫ ঘন্টা। একসময় রামগড় থেকে মানুষ হেটে নদী পথে এবং স্থলপথে হেটে চলে আসত। রামগড় থেকে তাইন্দং এর দুরত্ব মাত্র ৩০ কিলোমিটার। রামগড় দিয়ে যে রাস্তা হয়ে খাগড়াছড়ি আসতে হয়। রামগড় ও গুইমারা দুরত্ব ১৮ কিলোমিটার।
রামগড় ও গুইমারা মধ্যেখানে গুইমারা রিজিয়ন সৃস্টি করা হয়েছে। এই রাস্তা যদি বর্ডার ঘেষে হত তাহলে বিজিবি দিয়ে নিয়ন্ত্রন করতে পারত। মধ্যেখানে উপজাতি সন্ত্রার্সীরা অস্ত্র প্রশিক্ষন গ্রহন সহ দিনে অস্ত্রনিয়ে ঘুরে বেড়ায়। রামগড় থেকে তাইন্দং দিয়ে লোগাং হয়ে পানছড়ি দিয়ে বাঘাছড়ির সাজেক দেবদুস পাড়া হয়ে রাঙ্গামাটি কাপ্তাই হয়ে বান্দরবনের থানছি দিয়ে একটি রাস্তা করলে পর্য্টন সহ বাংলাদেশ উপজাতি সন্ত্রার্সী বাহিনীকে সহজে নিয়ন্ত্রন করা যেত।
রামগড় ভারতের সাবরুম ফেনীনদী ঘেষে মুলরাস্তা। তারপর পশ্চিম সাবরুম, আলিনিয়াবাদ, মাগ্রুম, কাপ্তালি, বাগচাতল, দেশরামপু, কোড়াকাপ্তা, সুকনাছড়ি, শিলাছড়ি, বড়বিল, পাতিছহারি, ইছাছড়ি, চকপুর, পশ্চিম পোতাছড়া. পুর্বপোতাছড়া, সুক্রায়ছড়া, সারভং, উজতামপুর, সিপাসিং, ভগীরত পাড়া, সিদ্ধপাড়া, চাকমা পাড়া।
তাইন্দং খাগড়াছড়ি মধ্যে সবচেয়ে উন্নত একটি এলাকা এখানে জাতি ও উপজাতি বসবাস করে। মাটিরাঙ্গা থেকে তাইন্দং পর্যন্ত বর্ডার থেকে প্রায় ৫/৭ কিলোমিটার দুরে রাস্তা তৈরী হয়েছে। তাইন্দং এর পরে বাংলাদেশে আর কোন হাইওয়ে নেই কিন্তু ভারতে মুলরাস্তা সাবরুম থেকে তাইন্দং পর্যন্ত মুলরাস্তা যেহেতু স্থালবন্দর হয়েছে তাই তাইন্দং থেকে ভারতে ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলার দুরত্বমাত্র ৫০ কিলো হবে আনুুমানিক। ১ ঘণ্টা আসা যায় আর আগর তলা দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতে মধ্যে বি-বাড়ীয়া দিয়ে রাস্তা হচ্ছে ।
যেমন তাইন্দং এর পর ভারত মুলরাস্তা অমরপুর এর পরে উদয়পুর। এর পরে আগরতলা আর আগরতলার পরেই বি-বাড়ীয়া এরপর নরসিংদী, এর পর ঢাকা। তাই রামগড় দিয়ে বর্ডার ঘেষে তাইন্দং দিয়ে আগতলা ভারত বাংলাদেশ যৌথ ভাবে স্থল বন্দরের অনুমোদন দিলে তাইন্দং দিয়ে ভারতে অমপুর হয়ে উদয়পুর দিয়ে আগরতলা পথ কমে যাবে প্রায় ৭০%। মানে যেখানে ৩৪০ কিলো সেখানে হবে ১১০ কিলো। তাই সহজ যাতায়াত ও বাংলাদেশ উপজাতিদের সন্ত্রাসী কার্যক্রম নিয়ন্ত্রন করার জন্য উপরে উল্লেখিত রাস্তা করা হলে বাংলাদেশ উন্নয়নে অনেক বড় ভুমিকা রাখবে বলে আমাদের বিশ্বাস।
আর রামগড় হয়ে বর্ডার ঘেষে ফেনী নদীর পাড় ঘেষে বেলছড়ি, তবলছড়ি হয়ে তাইন্দং লোহগাং হয়ে সাজেক এরপর রাঙ্গামাটি হয়ে বান্দরবনের থানছি হয়ে কক্সবাজার একটি রাস্তা করলে পার্বত্য এলাকা সহ পুরে চট্টগ্রামে পর্যটন খাত অনেক উন্নত হবে। উপজাতিদের জুমল্যান্ড চিন্তা থেকে বেড়িয়ে আসতে বাধ্য হবে।
করোনা ভাইরাসের কারণে বদলে গেছে আমাদের জীবন। আনন্দ-বেদনায়, সংকটে, উৎকণ্ঠায় কাটছে সময়। আপনার সময় কাটছে কিভাবে? লিখে পাঠাতে পারেন আমাদের। এছাড়া যেকোনো সংবাদ বা অভিযোগ লিখে পাঠান এই ইমেইলেঃ [email protected]
- সাজেকে পণ্যবাহী গাড়ি পাহাড়ের খাদে পড়ে যুবক নিহত
- দুস্থদের মাঝে ২৩ বিজিবির ইফতার ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ
- ওপেন টেন্ডার ছাড়াই কাটা হলো শতাধিক সরকারি গাছ
- খাগড়াছড়িতে ৩ দিন ব্যাপি নাট্য উৎসব শুরু
- কমছে বিদেশিদের ভিসার মেয়াদ
- জিম্মি নাবিক উদ্ধারে আলোচনায় অগ্রগতি
- শুরু হল কারওয়ানবাজার স্থানান্তর প্রক্রিয়া
- কাটছে ডলার সংকট
- কঠোর নির্দেশনা উপজেলা নির্বাচনে
- অ্যানেসথেসিয়ার ওষুধ পরিবর্তন করার নির্দেশ মন্ত্রণালয়ের
- এক ইসরাইলির পুরস্কার গ্রহণ করে ড. ইউনূস গণহত্যার পক্ষ নিয়েছেন
- ভারতীয় পণ্য বর্জনের আন্দোলন নিয়ে বিভক্ত বিএনপি
- বদলে যাচ্ছে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক
- কুড়িগ্রামের অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন করে সন্তুষ্ট ভুটানের রাজা
- ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ স্মার্ট দেশ হবে: স্পিকার
- নিজেদের নাগরিকদের শিরশ্ছেদ ও পুড়িয়ে মারছে মিয়ানমারের সেনারা
- প্রার্থীর আজ্ঞাবহ কাউকে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা করা যাবে না: ইসি
- সেনাবাহিনীতে নতুন সংযোজন তুরস্কের বায়রাক্টার ড্রোন
- একনেকে ৮ হাজার কোটি টাকার ১১ প্রকল্প অনুমোদন
- এলডিসি থেকে উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পেতে কার্যকর পদক্ষেপ নিন
- খাগড়াছড়িতে পুলিশ কমান্ডো প্রশিক্ষণ কোর্সের সমাপনী ও সনদ বিতরণ
- খাগড়াছড়িতে বৈসাবি ও বাংলা নববর্ষ উদযাপনে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত
- শাহজালালের থার্ড টার্মিনাল পুরোপুরি চালুর অপেক্ষা
- বিমানবন্দরে মুদ্রা কেনাবেচা: ২১ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
- পদ্মা সেতু ঘুরে দেখে মুগ্ধ ভুটানের রাজা
- গ্যাস উত্তোলন: কূপ খননে যুক্ত হচ্ছে তিন বিদেশী কোম্পানি
- পাল্টে যাচ্ছে রাজধানীর প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর চেহারা
- শিল্পে দ্রুত ইভিসি মিটার দেবে তিতাস
- ঈদের ছুটির আগেই শ্রমিকদের বেতন-বোনাস দেয়ার নির্দেশ
- কমতির দিকে ডলার সংকট, স্থবিরতা কাটানোর উদ্যোগ থাকবে আসছে বাজেটে
- এক শিশুর চিকিৎসায় লাখ টাকা সহায়তা দিল সেনাবাহিনী
- ৮০ ভাগ কাজ শেষ রংপুর-ঢাকা নতুন মহাসড়কের
- খাগড়াছড়িতে বিডি ক্লিনের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান উদ্বোধন
- পানছড়িতে অসহায়দের মাঝে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ
- ১৭০০ ফুট উঁচুতে নান্দনিক দারুস সালাম জামে মসজিদ
- পাহাড়ে এই বৈষম্যের শেষ কোথায়?
- খা.ছড়িতে আন্তঃ একাডেমি টুর্নামেন্ট বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ
- মাটিরাঙায় ক্লু-লেস হত্যার রহস্য উদঘাটন করল পুলিশ
- জাতীয় ক্রিকেট চ্যাম্পিয়নশীপ: খাগড়াছড়ির টানা দ্বিতীয় জয়
- রামগড়ে সূর্যমুখী চাষে সম্ভাবনার হাতছানি
- রামগড় স্থলবন্দর দিয়ে মার্চে যাত্রী পারাপার শুরু হবে
- জাতীয় ক্রিকেট চ্যাম্পিয়নশীপে লালমনিরহাটকে হারালো খাগড়াছড়ি
- খাগড়াছড়িতে নদী রক্ষার ব্লক তৈরিতে অনিয়মের অভিযোগ
- খাগড়াছড়িতে সেনাবাহিনীর ঈদ শুভেচ্ছা উপহার বিতরণ
- দীঘিনালায় কিশোরীর লাশ উদ্ধারের ঘটনায় আটক ৩
- সোমবার রাতে ১ মিনিট অন্ধকারে থাকবে সারা দেশ
- কমবে ডিজেল-পেট্রোল-অকটেনের দাম!
- মহালছড়িতে বিকল্প কর্মসংস্থান হিসেবে জেলেদের মাঝে ছাগল বিতরণ
- রেংমিটচ্য ভাষার প্রাণ ফেরানোর লড়াইয়ে সেনাবাহিনী
- পার্বত্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য হলেন জ্বরতী