বছরের শুরুতে অর্থনীতির তিন সূচকে সুখবর
দৈনিক খাগড়াছড়ি
প্রকাশিত: ৩ জানুয়ারি ২০২৩
ছবি- সংগৃহীত
নতুন বছরের শুরুতেই অর্থনীতির তিন সূচকেই সুখবর মিলেছে। নভেম্বরের তুলনায় ডিসেম্বরে রপ্তানি আয় বেড়েছে রেকর্ড পরিমাণে। মূল্যস্ফীতির হার সামান্য কমেছে। বেড়েছে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ও বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সোমবার প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে। আর রোববার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন থেকে রেমিট্যান্সের হালনাগাদ তথ্য পাওয়া যায়। সূত্র জানায়, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি, গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংকট এবং আন্তর্জাতিক বাজারে মন্দার মধ্যেও দেশের রপ্তানি আয় বেড়েছে। চলতি ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ২ হাজার ৭১৯ কোটি ডলার। এর বিপরীতে আয় হয়েছে ২ হাজার ৭৩১ কোটি ডলার। অর্থাৎ লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় আয় শূন্য দশমিক ৪৪ শতাংশ বেশি হয়েছে। পাশাপাশি গত অর্থবছরের একই সময় আয় হয়েছিল ২ হাজার ৪৬৯ কোটি ডলার। সে তুলনায় প্রবৃদ্ধি বেড়েছে ১০ দশমিক ৫৮ শতাংশ। গত নভেম্বরে রপ্তানি আয় হয়েছিল ৫০৯ কোটি ডলার। গত ডিসেম্বরে আয় হয়েছে ৫৩৬ কোটি ডলার। নভেম্বরের চেয়ে ডিসেম্বরে বেশি হয়েছে আয়।
ইপিবির প্রতিবেদন থেকে আরও জানা যায়, একক মাস হিসাবে বিদায়ি বছরের ডিসেম্বরে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন না হলেও প্রবৃদ্ধি বেড়েছে। ডিসেম্বরে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৫৪২ কোটি ডলার। আয় হয়েছে ৫৩৬ কোটি ডলার। আয় কম হয়েছে ১ দশমিক ০৩ শতাংশ। তবে ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে আয় হয়েছে ৪৯০ কোটি ডলার। সে ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি বেড়েছে ৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ।
গত শনিবার পূর্বাচলের বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্রে (বিবিসিএফইসি) ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা (ডিআইটিএফ) উপলক্ষ্যে সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, চলতি অর্থবছরে দেশের রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণের সময় ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবের বিষয়টি বিবেচনায় ছিল না। তা সত্ত্বেও এখন পর্যন্ত রপ্তানি আয়ের প্রবৃদ্ধি ভালো অবস্থানে রয়েছে। তাই আশা করছি অর্থবছর শেষে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে।
ইপিবি’র তথ্য মতে, চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) গার্মেন্ট পণ্য রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ২ হাজার ১৯৪ কোটি ডলার। আয় হয়েছে ২ হাজার ২৯৯ কোটি ডলার। আয় বেশি হয়েছে ৪ দশমিক ৮১ শতাংশ। এ ছাড়া গত অর্থবছরের একই সময় আয় হয়েছে ১ হাজার ৯৯০ কোটি ডলার। সে ক্ষেত্রে একই সময়ের তুলনায় প্রবৃদ্ধি বেড়েছে ১৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ। একইভাবে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৬৭ কোটি ডলার। আয় হয়েছে ৬৩ কোটি ডলার। সে ক্ষেত্রে আয় কম হয়েছে ৫.৬ শতাংশ। এ ছাড়া গত অর্থবছরের একই সময় আয় হয়েছে ৫৬ কোটি ডলার। সে ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি বেড়েছে ১৩ শতাংশ।
এদিকে বিবিএসের তথ্য অনুযায়ী, বাজারে পণ্যমূল্য না কমলেও দেশের মূল্যস্ফীতিতে বিরাজ করছে নিম্নমুখী ধারা। গত ডিসেম্বরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ৭১ শতাংশ। নভেম্বর মাসে এ হার ছিল ৮ দশমিক ৮৫ শতাংশ। তবে ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে এই হার ছিল ৬ দশমিক ৫ শতাংশ। এ হিসেবে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি অনেক বাড়তি রয়েছে। এ ছাড়া গত মাসে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে হয়েছে ৭ দশমিক ৯১ শতাংশ, যা নভেম্বর মাসে ছিল ৮ দশমিক ১৪ শতাংশ। এ ছাড়া খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৯৬ শতাংশে, যা নভেম্বরে ছিল ৯ দশমিক ৯৮ শতাংশ। অপর দিকে গড় মূল্যস্ফীতি সম্পর্কে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত এক বছরে গড় মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৭ দশমিক ৭০ শতাংশ।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিশ্বব্যাংক ঢাকা অফিসের সাবেক লিড ইকোনমিস্ট ড. জাহিদ হোসেন যুগান্তরকে বলেন, মূল্যস্ফীতি কমা মানে পণ্যের দাম কমাটা বোঝায় না। মূল্যস্ফীতি কিছু কম মানে হচ্ছে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির হার কমেছে। কিন্তু যেটি হয়েছে সেটিও তো অনেক বেশি। বাজারে আমন ধান এবং শীতের সবজি আসায় খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার নিম্নমুখী হলেও খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের ক্ষেত্রে তেমন পরিবর্তন লক্ষ করা যায় না।
বিবিএস বলেছে, গ্রামে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমে হয়েছে ৮ দশমিক ৮৬ শতাংশ, যা নভেম্বরে ছিল ৮ দশমিক ৯৪ শতাংশ। এ সময় খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৮ দশমিক ১১ শতাংশ, নভেম্বরে ছিল ৮ দশমিক ২৩ শতাংশ। এ ছাড়া খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি হয়েছে ১০ দশমিক ২৯ শতাংশ, নভেম্বর মাসে যেটি ছিল ১০ দশমিক ৩১ শতাংশ।
এদিকে ডিসেম্বর মাসে শহরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ৪৩ শতাংশে, যেটি নভেম্বর মাসে ছিল ৮ দশমিক ৭০ শতাংশ। এ সময় খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৭ দশমিক ৪৫ শতাংশ, যেটি নভেম্বরে ছিল ৭ দশমিক ৯৫ শতাংশ। এ ছাড়া খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৯ দশমিক ৫১ শতাংশ, যা তার আগের মাসে ছিল ৯ দশমিক ৫৪ শতাংশ।
বিবিএস’র প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ডিসেম্বর মাসে মজুরি হার বেড়ে হয়েছে ৭ দশমিক ০৩ শতাংশ, যা নভেম্বর মাসে ছিল ৬ দশমিক ৯৮ শতাংশ। এ ক্ষেত্রে কৃষিতে বেড়ে হয়েছে ৬ দশমিক ৯৫ শতাংশ, যেটি নভেম্বরে ছিল ৬ দশমিক ৯০ শতাংশ। এ ছাড়া শিল্পে মজুরি হার বেড়ে হয়েছে ৭ দশমিক ১২ শতাংশ, যেটি নভেম্বর মাসে ছিল ৭ দশমিক ০৬ শতাংশ। সেবা খাতেও মজুরি হার বেড়ে হয়েছে ৭ দশমিক ২৬ শতাংশ, যা নভেম্বর মাসে ছিল ৭ দশমিক ১৭ শতাংশ।
এদিকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, নভেম্বরের তুলনায় ডিসেম্বরে রেমিট্যান্স প্রবাহ সামান্য বেড়েছে। ওই মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ১৬৯ কোটি ৯৬ লাখ ডলার। গত নভেম্বরে এসেছিল ১৫৯ কোটি ৫১ লাখ ডলার। এ ছাড়া ২০২১ সালের ডিসেম্বরের চেয়ে প্রায় ৭ কোটি ডলার বেশি এসেছে ডিসেম্বরে। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৬৩ কোটি ডলার।
২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ৬ মাসে মোট রেমিট্যান্স এসেছিল ১ হাজার ৪৯ কোটি ৩২ লাখ ডলার। আগের অর্থবছরের একই সময়ে রেমিট্যান্স এসেছিল ১ হাজার ২৩ কোটি ৯৫ লাখ ডলার। সে হিসাবে এ অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে ২৫ কোটি ৩৭ লাখ ডলার বেশি এসেছে।
করোনা ভাইরাসের কারণে বদলে গেছে আমাদের জীবন। আনন্দ-বেদনায়, সংকটে, উৎকণ্ঠায় কাটছে সময়। আপনার সময় কাটছে কিভাবে? লিখে পাঠাতে পারেন আমাদের। এছাড়া যেকোনো সংবাদ বা অভিযোগ লিখে পাঠান এই ইমেইলেঃ [email protected]
- চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় জ্বালানি তেল যাবে পাইপ লাইনে
- সোমবার আসছেন কাতারের আমির
- ক্যাশলেস পদ্ধতিতে যাচ্ছে এনবিআর
- বঙ্গবন্ধু টানেলে পুলিশ-নৌবাহিনী-ফায়ার সার্ভিসের টোল মওকুফ
- সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীতে আসছেন আরও ৪ লাখ মানুষ
- ৫০ বছরে দেশের সাফল্য চোখে পড়ার মতো
- জাত, দাম উৎপাদনের তারিখ লিখতেই হবে চালের বস্তায়
- প্রাণী ও মৎস্যসম্পদ উন্নয়নে বেসরকারি খাত এগিয়ে আসুক
- উপজেলা নির্বাচনে সিলেট বিএনপির ৬ নেতা
- উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপি’র আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ
- সয়াবিন তেলের দাম পুনর্নির্ধারণ করলো সরকার
- সার্ককে পুনরুজ্জীবিত করার আহ্বান বাংলাদেশ-নেপালের
- ভারতে ভোট শুরু আজ
- বাংলাদেশে গ্রিসের দূতাবাস চালু হতে যাচ্ছে- পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- ঢাকায় ভিসা কেন্দ্র খুলল চীন
- সামরিক ও ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থার সম্পর্ক নিয়ে সেমিনার
- মাছ-ডাল-ভাতের অভাব নেই, মানুষের চাহিদা এখন মাংস-প্রধানমন্ত্রী
- ২৬১ বিজিপিকে শিগগিরই মিয়ানমারে পাঠানো হবে: বিজিবি ডিজি
- গুইমারায় প্রাক্তন ছাত্র পরিষদের ঈদ পূনর্মিলনী অনুষ্ঠিত
- খাগড়াছড়িতে ৫ দিনব্যাপী প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহের উদ্বোধন
- রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলামের দাফন সম্পন্ন
- ফের আশা জাগাচ্ছে লালদিয়া চরের কনটেইনার টার্মিনাল
- মাঠ প্রশাসন সামলাতে হার্ডলাইনে সরকার
- ‘মাই লকারে’ স্মার্টযাত্রা
- এক সফটওয়্যারের আওতায় আসছেন সব সরকারি চাকরিজীবী
- জলবিদ্যুৎসহ নেপালের বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের আহ্বান
- সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি: আট বিভাগে হচ্ছে মেলা
- শঙ্কা কেটে গিয়ে কৃষকদের মুখজুড়ে এখন স্বর্ণালি হাসি
- পর্যটন শিল্পের বিকাশ: কুয়াকাটায় বিমানবন্দর নির্মাণের উদ্যোগ
- মুজিবনগর দিবসে সব অপশক্তিকে প্রতিহত করার অঙ্গীকার
- বিভেদ মেটাতে মাঠে আওয়ামী লীগ
- গুইমারায় প্রাক্তন ছাত্র পরিষদের ঈদ পূনর্মিলনী অনুষ্ঠিত
- খাগড়াছড়িতে আ.লীগ নেতার বাড়িতে সন্ত্রাসী হামলা
- বৃক্ষের প্রতি মানবপ্রেম জাগ্রত হোক
- মেট্রোরেল চলাচলে আসতে পারে নতুন সূচি
- অনিবন্ধিত ও অবৈধ নিউজ পোর্টাল বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে
- যত্রতত্র পার্কিং আর ফুটপাত দখলে সংকীর্ণ হচ্ছে খাগড়াছড়ির সড়ক
- উপজেলা নির্বাচনে সিলেট বিএনপির ৬ নেতা
- চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় জ্বালানি তেল যাবে পাইপ লাইনে
- এক সফটওয়্যারের আওতায় আসছেন সব সরকারি চাকরিজীবী
- মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
- দীঘিনালায় যাত্রীর কাছ থেকে বেশী ভাড়া নেয়ায় জরিমানা
- খাগড়াছড়িতে ৪০জনের মনোনয়নপত্র বৈধ, একজনের বাতিল
- খাগড়াছড়িতে মাসব্যাপী ঈদ আনন্দ ও বৈশাখী মেলা শুরু
- বিমানের জরুরি অবতরণ: বেঁচে গেলেন শতাধিক যাত্রী
- রুমায় অস্ত্রসহ ৯ কেএনএফ সদস্য গ্রেফতার
- সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি: আট বিভাগে হচ্ছে মেলা
- উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ মন্ত্রী-এমপিদের
- এখনও আলোচনার পথ বন্ধ হয়নি, কেএনএফ প্রসঙ্গে র্যাবপ্রধান
- মাটিরাঙ্গায় অসহায়দের মাঝে বিজিবির অনুদান প্রধান