• বুধবার   ২৯ মার্চ ২০২৩ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪২৯

  • || ০৬ রমজান ১৪৪৪

দৈনিক খাগড়াছড়ি

পাহাড়ের ঢালু ও নদীর তীরে হলদে উৎসব

দৈনিক খাগড়াছড়ি

প্রকাশিত: ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩  

পাহাড়পুর। কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ভারত সীমান্তবর্তী গ্রাম। এখানের পাহাড়ের ঢালু ও পাগলি নদীর তীরে এক সময় পড়ে থাকতো পতিত জমি। এবার বোরো মৌসুমের অগ্রভাগে ওইসব জমিতে চাষ হয়েছে সরিষা। দৃষ্টি সীমানায় বসেছে হলুদের উৎসব। 

বুড়িচং উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বানিন রায় জানান, এই পতিত জমির ১১০ বিঘায় এবার সরিষার আবাদ হয়েছে। এটি এ উপজেলার সবচেয়ে বড় সরিষার মাঠ।

এই কর্মকর্তা আরো জানান, পাগলি নদীর পানিও একসময় বেশ কমে যায়। নদীর পানি সেচে কৃষকরা ফসল ফলানোর চেষ্টা করতেন। কিন্তু সেসব ফসলের জীবনকাল ছিল দীর্ঘ। আমরা গত বছর পরীক্ষামূলকভাবে সেখানে তিল ও সরিষার চাষ করে সফল হই। এবার স্বল্প জীবনকালীন সরিষা আবাদ করি। আমরা এখানে বিনা-৪, বিনা-৯, বারি-১৪ ও বারি-১৮ জাতের সরিষা লাগাই। সরিষার আবাদের কারণে পানি নিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়নি। এবার এই মাঠে অবিশ্বাস্য রকম ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।

পাহাড়পুরের সরিষা মাঠে গিয়ে দেখা যায়, পুরো মাঠে হলুদ ফুল দোল খাচ্ছে। দৃষ্টি সীমানায় হলুদ আর হলুদ। পাতায় পাতায় ঘুরছে মৌমাছি। সারা মাঠে সরিষার ম-ম গন্ধ। টুইট চিচি শব্দ তুলে উড়ে বেড়াচ্ছে নানা পাখি। গ্রামের গাছে গাছে মৌমাছির চাক। কৃষকের কণ্ঠে উচ্ছ্বাস উপচে পড়ছে।

স্থানীয় কৃষক জয়নাল আবেদিন বলেন, এবার এক বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করেছি। ভালো ফলন হয়েছে। আগামীবার ১০ বিঘা জমিতে সরিষা করার ইচ্ছা আছে।

আবদুল মতিন জানান, স্বপ্নেও ভাবিনি এসব জমিতে এত ভালো ফসল হবে। স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তাদের আন্তরিকতার কারণে আজ পুরো গ্রামে খুশির জোয়ার বয়ে যাচ্ছে।

কৃষক বাবুল মিয়া জানান, গত বছর পরীক্ষামূলক সরিষা চাষ হয়। তখন ১৪ হাজার টাকা খরচ করে ৩৬ হাজার টাকার সরিষা বিক্রি করি। এছাড়া সারা বছর আর তেল কিনতে হয়নি। এবার আরও বেশি জমিতে সরিষা করেছি। আশা করি, লক্ষাধিক টাকা আয় হবে।

করোনা ভাইরাসের কারণে বদলে গেছে আমাদের জীবন। আনন্দ-বেদনায়, সংকটে, উৎকণ্ঠায় কাটছে সময়। আপনার সময় কাটছে কিভাবে? লিখে পাঠাতে পারেন আমাদের। এছাড়া যেকোনো সংবাদ বা অভিযোগ লিখে পাঠান এই ইমেইলেঃ [email protected]