মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ ||
চৈত্র ৫ ১৪৩০
|| ০৮ রমজান ১৪৪৫
দৈনিক খাগড়াছড়ি
প্রকাশিত: ২৬ জানুয়ারি ২০২৩
বৈশ্বিক মন্দা ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে দেশে ভোজ্যতেলের দাম নিয়ে অস্থিরতা দেখা দেয়। যুদ্ধের কারণে সূর্যমুখী তেলের সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সয়াবিন ও পাম অয়েলের ওপর চাপ পড়ে।
চাহিদার সঙ্গে দিন দিন সয়াবিনের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়তে থাকায় দিশেহারা হয়ে পড়ে ক্রেতা সাধারণ। এ শস্যের দামের কারণে গ্রাম ও শহরে সরিষার তেলের চাহিদা তুলনামূলক বাড়তে থাকে। দেশে ভোজ্যতেলের ঘাটতি পূরণের পাশাপাশি চোখে স্বচ্ছলতার স্বপ্ন নিয়ে সরিষা চাষে ঝুঁকেছে কৃষক। ফলন ভালো হওয়ার আশায় এ ফসলেই স্বপ্ন বুনছে দেশের প্রান্তিক কৃষক।
গত কয়েক বছরের তুলনায় ২০২৩ সালে প্রায় দ্বিগুণ জমিতে আবাদ হচ্ছে সরিষার। হলুদ ফুলে ভরে গেছে কৃষকের মাঠ। সরিষার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনার কথা বাংলানিউজকে জানিয়েছেন দেশের প্রান্তিক কৃষক।
কৃষকরা বলছেন, সরিষা চাষে খরচ ও পরিশ্রম দুটোই কম হয়। আবাদেও কষ্ট কম। এছাড়া তেলের দাম অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় ভালো। ফলে নিজের চাহিদা মিটিয়ে দেশেও ভোজ্যতেলের ঘাটতি পূরণে এবার সরিষা চাষে ব্যাপক আগ্রহ দেখিয়েছেন তারা।
বরিশালের কর্ণকাঠি ইউনিয়নের প্রান্তিক কৃষক ইসমাইল হোসেন বলেন, কয়েক বছর সরিষার তেমন দাম না থাকায় আবাদ করিনি। সয়াবিন তেলের দাম বাড়ায় এ বছর দুই একর জমিতে সরিষা আবাদ করছি। এতে করে নিজের সংসারের চাহিদা মিটিয়ে বিক্রিও করতে পারবো। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে সরিষা থেকে ভালো লাভ হবে।
সয়াবিনের দাম বাড়ায় আমদানি নির্ভরতা কমানোর সুযোগ এসেছে। এর আগে কম দাম থাকায় কৃষকরা সরিষা চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন। এখন ৫ লিটার সয়াবিন কিনতে প্রায় এক মণ ধানের সমান দাম দিতে হয়। ফলে সরিষা চাষে আগ্রহ বাড়ে কৃষকদের। আগামীতে এ ফসলের আবাদ কয়েকগুণ বাড়বে বলে মনে করেন ধামরাইয়ের চৌহাট্ট ইউনিয়নের কৃষক রাশেদুল ইসলাম।
সরকারের পক্ষ থেকেও তেলের আমদানি কমাতে সরিষা চাষে কৃষকদের উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, এ বছর বাংলাদেশে রেকর্ড পরিমাণ সরিষার চাষ হয়েছে। সরিষার তেল এবং আস্ত সরিষা- দুটোরই দাম বাড়ায় কৃষকরা এতে আগ্রহী হচ্ছেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, ২০২৩ সালে সরিষা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬ লাখ ৭০ হাজার হেক্টর জমিতে। এবার ৮ লাখ ১২ হাজার হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ হচ্ছে। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১ লাখ ৪২ হাজার হেক্টরের বেশি। বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।
করোনা ভাইরাসের কারণে বদলে গেছে আমাদের জীবন। আনন্দ-বেদনায়, সংকটে, উৎকণ্ঠায় কাটছে সময়। আপনার সময় কাটছে কিভাবে? লিখে পাঠাতে পারেন আমাদের। এছাড়া যেকোনো সংবাদ বা অভিযোগ লিখে পাঠান এই ইমেইলেঃ [email protected]
দৈনিক খাগড়াছড়ি Dainik Khagrachari
সর্বশেষ
জনপ্রিয়