শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||
চৈত্র ১৫ ১৪৩০
|| ১৮ রমজান ১৪৪৫
দৈনিক খাগড়াছড়ি
প্রকাশিত: ২৫ জানুয়ারি ২০২৩
জানা যায়, সরিষা চাষে খরচ ও পরিশ্রম দুটোই কম হওয়ায় অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেক কৃষক এই ফসল চাষে ঝুঁকেছেন। সরিষা তোলার পর একই জমিতে বোরো ধানের আবাদ হচ্ছে। সরিষা বেলে বা দোআঁশ মাটিতে ভালো হয়। যেহেতু বেলে ধরনের মাটিতে সেচ দেওয়ার পর পানি চুইয়ে নিচে চলে যায় এবং এ সময় পানির সঙ্গে বেশকিছু খাদ্য উপাদানও নিচে চলে যায়। সরিষা চাষে প্রচুর রোদ, কম তাপমাত্রা ও জমিতে পর্যাপ্ত রস থাকা প্রয়োজন। তাপমাত্রা বেড়ে গেলেও মাটিতে রসের অভাব হলে দানার আকার ছোট হয়, যার কারণে তেলের পরিমাণও কমে যায়। এজন্য বাংলাদেশে রবি মৌসুমেই সরিষার চাষ করা হয়।
পলাশ উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে উপজেলার একটি পৌরসভা ও চারটি ইউনিয়নে ৮৫ হেক্টর জমিতে আবাদের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও আবাদ করা হয়েছে ৯৫ হেক্টর জমিতে। যা গত বছরের তুলনায় ২০ হেক্টর বেশি। উপজেলার গজারিয়া, চরসিন্দুর ও জিনারদী ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি সরিষার চাষ করা হয়।
খাসহাওলা গ্রামের কৃষক মোহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন, এবার প্রায় ১০০ শতাংশ বারী-১৪ জাতের সরিষা চাষ করেছি ফলনও খুব ভালো হয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ আবু নাদের এস এ সিদ্দিকী জানান, সরিষা চাষে কৃষকেরা যেভাবে আগ্রহ দেখাচ্ছে তা অত্যন্ত ইতিবাচক। এটি কৃষিখাতে সরকারের আরো একটি সাফল্য। দেশি জাতের সরিষা ৬০ থেকে ৭০ দিনে এবং উচ্চ ফলনশীল জাতের সরিষা উঠতে সময় লাগে ৭৫ থেকে ৮০ দিন। তিনি আরো বলেন, সরিষার আবাদ বৃদ্ধি হলে তেল জাতীয় ফসলের উৎপাদন বাড়বে এবং তেলের আমদানি নির্বরতা কমে যাবে।
করোনা ভাইরাসের কারণে বদলে গেছে আমাদের জীবন। আনন্দ-বেদনায়, সংকটে, উৎকণ্ঠায় কাটছে সময়। আপনার সময় কাটছে কিভাবে? লিখে পাঠাতে পারেন আমাদের। এছাড়া যেকোনো সংবাদ বা অভিযোগ লিখে পাঠান এই ইমেইলেঃ [email protected]
দৈনিক খাগড়াছড়ি Dainik Khagrachari
সর্বশেষ
জনপ্রিয়