শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||
চৈত্র ১৪ ১৪৩০
|| ১৮ রমজান ১৪৪৫
দৈনিক খাগড়াছড়ি
প্রকাশিত: ২০ জানুয়ারি ২০২৩
পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকত দর্শনার্থীদের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছে তার মোহনীয় অপরুপ সৌন্দর্যের কারণে। তবে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে সমুদ্রের বুক চিরে তীরে আছড়ে পড়া ঢেউয়ের তান্ডবে ভাঙনের কবলে পড়ে সৌন্দর্য হাড়িয়েছে সৈকতের বিস্তীর্ণ এলাকা। ফলে অব্যাহত তীব্র কড়াল গ্রাসের রুদ্রতা ঠেকাতে ও কুয়াকাটাকে রক্ষায় কয়েকদফা সমীক্ষা চালায় সরকার।
এরই ধারাবাহিকতায় বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে ২০১৭ সালের জুলাই মাসে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে সাড়ে ২৪ ফিট উচ্চতায় রক্ষাবাঁধ নির্মাণের কার্যক্রম শুরু করে পানি উন্নয়ন বিভাগ। যা চলতি বছরের জুনেই বাস্তবায়নের লক্ষে এগিয়ে চলছে নির্মাণকাজ।
পানি উন্নয়ন বিভাগের তথ্যানুযায়ী, ৩৮ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে চলমান কাজ প্রায় শেষের দিকে। এরমধ্যে কুয়াকাটা জিরো পয়েন্ট থেকে খাজুরা পয়েন্ট পর্যন্ত অন্তত ৫ কিলোমিটার ব্লক প্রটেকশন দ্বারা নির্মাণ করা হচ্ছে।
জানা যায়, সৈকতের ঐ এলাকায় সমুদ্রের তীব্র ঢেউ আছড়ে পড়ায় ব্লক প্রটেশন দেয়া হচ্ছে। এছাড়া বাকি বেড়িবাঁধ পরিকল্পনানুযায়ী সাড়ে ২৪ ফিট উচ্চতা এবং ১৯ ফিট প্রস্থ করে নির্মাণকাজ চলমান রয়েছে। যা এরমধ্যে ৮৪ ভাগ কাজ শেষের পথে।
কলাপাড়া পানি উন্নয়ন বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলি আরিফ হোসেন জানান, বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে কুয়াকাটায় ৩৮ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণ প্রকল্প চলমান রয়েছে। এরমধ্যে জিরো পয়েন্ট থেকে খাজুরা পয়েন্টে ৫ কিলোমিটার পর্যটক বান্ধব ব্লক প্রটেকশন করা হচ্ছে। আর এই ব্লক প্রটেকশন এমনভাবে নির্মাণ করা হচ্ছে, যেখানে পর্যটকরা বসে সমুদ্র উপভোগ করতে পারবেন। এছাড়া ৩৩ কিলোমিটার এলাকা মাটি দিয়ে নির্মিত হবে।
তিনি আরো বলেন, ১৩৮ কোটি টাকার চলমান বাঁধ রক্ষা প্রকল্প চলতি বছরের জুনে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। এছাড়া কুয়াকাটা উন্নয়ন এবং পর্যটন শিল্প রক্ষায় জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে সমন্বয় রেখে পদক্ষেপ নিচ্ছে পর্যটন বান্ধব সরকার।
করোনা ভাইরাসের কারণে বদলে গেছে আমাদের জীবন। আনন্দ-বেদনায়, সংকটে, উৎকণ্ঠায় কাটছে সময়। আপনার সময় কাটছে কিভাবে? লিখে পাঠাতে পারেন আমাদের। এছাড়া যেকোনো সংবাদ বা অভিযোগ লিখে পাঠান এই ইমেইলেঃ [email protected]
দৈনিক খাগড়াছড়ি Dainik Khagrachari
সর্বশেষ
জনপ্রিয়