জাল সনদধারী শিক্ষকদের পকেটের ৪৬ কোটি টাকা উদ্ধার
দৈনিক খাগড়াছড়ি
প্রকাশিত: ২৫ এপ্রিল ২০২২

ছবি- সংগৃহীত।
ঢাকার হাম্মাদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নজরুল ইসলাম। জাল ‘শিক্ষক নিবন্ধন’ সনদে প্রায় এক যুগ শিক্ষকতা করেন তিনি। মহসিন নামের আরেক ব্যক্তির সনদও জাল করেছিলেন তিনি।
২০০৮ সাল থেকে এ শিক্ষক সরকারি বেতন-ভাতা (এমপিও) গ্রহণ করেন। তার বিরুদ্ধে মামলা করার জন্য ঢাকা জেলা শিক্ষা অফিস থেকে গত বছরের ১৫ নভেম্বর স্কুলে চিঠি দেওয়া হয়।
অন্যদিকে পটুয়াখালীর ধুলিয়া হাইস্কুল ও কলেজের প্রভাষক অজয় কৃষ্ণদাসও জাল সনদে চাকরি নেন। তিনি এমপিওভুক্ত হিসেবে সরকারি কোষাগার থেকেই গ্রহণ করেন দুই লাখ ৯৫ হাজার ৭৫০ টাকা।
শুধু এ দুজনই নন, পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) অনুসন্ধানে এ পর্যন্ত এক হাজার ৭৮৭ জন শিক্ষকের জাল সনদ চিহ্নিত করা হয়েছে। যাদের কেউ নিবন্ধন সনদ আবার কেউ বিভিন্ন স্তরের একাডেমিক, ডিপ্লোমা ও পেশাগত জাল সনদ তৈরি করে স্কুল-কলেজ এবং মাদরাসায় চাকরি নেন।
এরই মধ্যে এক হাজার ৬৪ জনের বিরুদ্ধে নেওয়া হয়েছে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা। তাদের এমপিওভুক্তি সুবিধা হিসেবে বেতন-ভাতা বাবদ নেওয়া ৪৬ কোটি টাকার বেশি ফেরত এসেছে সরকারি কোষাগারে।
২০১৩ থেকে ২০২১ সালের নভেম্বর পর্যন্ত প্রায় ১২ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তদন্ত চালিয়ে সংস্থাটি জাল সনদ শনাক্ত করে।
ডিআইএ পরিচালক অধ্যাপক অলিউল্লাহ মো. আজমতগীর জাগো নিউজকে বলেন, সারাদেশে প্রায় ৩৬ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন ও তদন্ত করে কারও কারও চিহ্নিত হচ্ছে ভুয়া সনদ। আবার অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করে জাল সনদ পাওয়া যাচ্ছে।
তবে জনবল সংকটের কারণে প্রত্যাশিত পর্যায়ে তদন্ত করা যাচ্ছে না বলে জানান ডিআইএ পরিচালক। তিনি বলেন, জাল সনদে চাকরি নেওয়া ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে তারা সাধারণত সুপারিশসহ মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন পাঠান।
বিভাগভিত্তিক ভুয়া সনদ ও অর্থ আদায়
ডিআইএ’র অনুসন্ধানে দেখা গেছে, এ পর্যন্ত ঢাকা বিভাগে জাল সনদধারী ৩৩৮ জন বেতন-ভাতা বাবদ নিয়েছেন নয় কোটি ২৩ লাখ ৪৮ হাজার ৪৬৫ টাকা।
এছাড়া চট্টগ্রাম ও সিলেটে ৪৭ জন নিয়েছেন দুই কোটি ৭২ লাখ ৯ হাজার ৪৭৯ টাকা, রাজশাহীতে ২১ কোটি ৮৬ লাখ ৩৮ হাজার ২৮১ টাকা নিয়েছেন ৪৪৬ জন, খুলনা ও বরিশালে ২৩৩ জন বেতন-ভাতা বাবদ নিয়েছেন ১২ কোটি ৯৬ লাখ ৮৭ হাজার ৩৯৭ টাকা।
এছাড়া আরও অন্যান্য মিলিয়ে সারাদেশে এক হাজার ৬৪ জনের জাল সনদ চিহ্নিত হয়েছে। এদের থেকে রাজস্ব খাতে ফেরত দেওয়া হয়েছে মোট ৪৬ কোটি ৭৮ লাখ ৮৩ হাজার ৬২২ টাকা।
সংশ্লিষ্টরা জানায়, ২০১৫ সাল থেকে জাতীয় শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) মাধ্যমে সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ করা হচ্ছে। এর আগে শিক্ষক নিয়োগে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিজেরাই বিজ্ঞপ্তি দিতো। অবশ্য ওইসব নিয়োগ বোর্ডে থাকতেন সরকারি প্রতিনিধিরা।
এখন প্রশ্ন উঠেছে, একজন শিক্ষক নিয়োগ পাওয়ার আগে তার কাগজপত্র স্কুল-কলেজ ও মাদরাসায় যাচাই হওয়ার কথা। এছাড়া এমপিওভুক্ত হওয়ার আগে এসব শিক্ষকের কাগজপত্র যাচাই হওয়ার কথা মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরে (মাউশি)। এত কিছুর পরও কী করে জাল সনদে নিয়োগের পাশাপাশি সংশ্লিষ্টরা এমপিওভুক্ত হন।
অভিযোগ রয়েছে, জাল সনদধারীদের ধরার ব্যাপারে অনীহা রয়েছে শিক্ষা প্রশাসনের অসাধু কর্মকর্তাদের। এর মধ্যে এনটিআরসিএ, মাউশি এবং মন্ত্রণালয়ের একটি চক্র আছে। তারা পরস্পর যোগসাজশে একদিকে ভুয়া সনদধারীদের রক্ষা করছে। আরেকদিকে প্রয়োজনে ভুয়া সনদ পেতেও সহায়তা করছে।
ডিআইএ’র নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জাগো নিউজকে জানান, জালিয়াতদের শনাক্ত করে দেওয়া হলেও মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট শাখা থেকে কেউ কেউ পার পেয়ে যাচ্ছেন।
এমন একটি ঘটনার কথা উল্লেখ করে ওই কর্মকর্তা বলেন, খুলনার দৌলতপুরে একটি কলেজের হিসাববিজ্ঞানের এক প্রভাষক জাল সনদে চাকরি নেন বলে তাদের তদন্তে ২০১৮ সালে ধরা পড়ে। কিন্তু তাকে পরে অভিযোগ থেকে মুক্তি দেয় মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা শাখা। এটি নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও পরে তা চাপা পড়ে যায়।
ডিআইএ’র পরিচালক আজমতগীর জাগো নিউজকে বলেন, আমাদের কর্মকর্তারা যখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তদন্তে যান, তখন তারা শিক্ষকদের যোগদানের সব প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যাচাই করেন। তাদের যাচাইয়ে জাল পেলে সেইভাবে প্রতিবেদন দেওয়া হয়। কিন্তু প্রায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, মন্ত্রণালয় থেকে ছাড় পাওয়া অভিযুক্ত ব্যক্তি (আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগে) আরেকটি সনদ হাজির করেছেন। পরে তার আলোকে দায়মুক্তি দেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, মন্ত্রণালয়ে উপস্থাপিত সনদটি হয়তো আসল। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, যদি তাই হয়, তাহলে আসল সনদটি এলো কোথা থেকে। আর চাকরি নেওয়ার সময় সংশ্লিষ্ট আবেদনকারী সেটি দাখিল করলেন না কেন। কিংবা এক সনদে চাকরি নিয়ে পরে আরেক সনদ প্রদর্শন করলে চাকরির বৈধতা থাকে কি না। এসব নিয়ে দীর্ঘ অনুসন্ধানের প্রয়োজন রয়েছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
করোনা ভাইরাসের কারণে বদলে গেছে আমাদের জীবন। আনন্দ-বেদনায়, সংকটে, উৎকণ্ঠায় কাটছে সময়। আপনার সময় কাটছে কিভাবে? লিখে পাঠাতে পারেন আমাদের। এছাড়া যেকোনো সংবাদ বা অভিযোগ লিখে পাঠান এই ইমেইলেঃ [email protected]
- অগ্রাধিকার সুবিধা অব্যাহত রাখতে আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
- মাদক পাচারকারীদের দলীয় পরিচয় নেই, তারা জাতির শত্রু
- ভারত থেকে কোনো রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে আসতে দেওয়া হবে না
- বেসামরিকদের সুরক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান বাংলাদেশের
- খাগড়াছড়িতে মৎস্যজীবি লীগের সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত
- প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটূক্তির প্রতিবাদে ছাত্রলীগের বিক্ষোভ মিছিল
- গুইমারা উপজেলা নির্বাচন প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্ধ
- ‘বিপদে সেনাবাহিনীকে কাছে পাই আমরা’
- অভিমত সবার
পাহাড়ে শান্তি বজায় রাখতে সেনাবাহিনীর বিকল্প নেই - কেন পাহাড়ে সেনাবাহিনী দরকার?
- রামগড়ে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত
- পাহাড়ে রক্তপাত, হানাহানি ও চাঁদাবাজি বন্ধ করবে সরকার
- পাহাড়ে শান্তির জন্য যে বাহিনী প্রয়োজন সেটি মোতায়েন করা হবে
- জমকালো উদ্বোধন হবে পদ্মা সেতুর, চলছে প্রস্তুতি
- কবি নজরুল ইসলাম এখনও অনাবিষ্কৃত: চবি উপাচার্য
- চলন্ত বাসে ধর্ষণচেষ্টা, চালক ও সহকারী গ্রেফতার
- মীরসরাইয়ে যুবককে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ
- রাস্তা পারাপারের সময় দুর্ঘটনা, প্রাণ গেল শিশুর
- গরু চরাতে গিয়ে বজ্রপাতে নারীর মৃত্যু
- শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অদম্য গতিতে দেশ এগিয়ে চলছে
- পরাজয়ের শঙ্কায় বিএনপি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আসতে ভয় পাচ্ছে: পলক
- সারাদেশে বৃষ্টির পূর্বাভাস
- গণমাধ্যম উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী অনেক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন
- বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য সম্পর্কের ভিত্তি রচনা করে গেছেন
- বিএনপির ঐক্যের সংলাপের আড়ালে অপশক্তির গভীর ষড়যন্ত্র: কাদের
- জলবায়ু পরিবর্তন বিবেচনায় ডেল্টা প্ল্যান বাস্তবায়নের তাগিদ
- লক্ষ্মীছড়ি সেনা জোনে মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
- লক্ষ্মীছড়িতে গাঁজাসহ আটক ১
- দীঘিনালায় পুষ্টি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় কৃষি প্রশিক্ষণ
- জেলার শ্রেষ্ঠ রোভার স্কাউট শিক্ষক দুলাল হোসেন
- কানাডায় সন্তুর ভাড়াটিয়া অগাস্টিনা চাকমা
- জাতিসংঘে বাংলাদেশ বিরোধী অপপ্রচার।। কে এই অগাস্টিনা চাকমা ?
- ফেসবুকে উস্কানিমূলক তথ্য দিচ্ছে ‘হিলস পলিসি রিসার্চ’
- যেভাবে ইউপিডিএফের কর্মিদের ‘ভুল’ মন্ত্র দিচ্ছে নেতারা
- ব্যক্তিজীবনে বেপরোয়া-উচ্ছঙ্খল অগাস্টিনা চাকমা
- রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার।। উপজাতিদের বাড়তি সুযোগ আর নয়
- ‘আমরা ইউপিডিএফ ছেড়ে শান্তিপূর্ণ জীবনে ফিরতে চাই’
- দীঘিনালায় ঘরবাড়ি নির্মাণে বাধা দেওয়ার হাস্যকর গল্প
- গুইমারায় ছাত্রীকে জোর পূর্বক ধর্ষনের মামলায় মসজিদের ঈমাম আটক
- খাগড়াছড়িতে উদ্ধার ভোজ্যতেল ভোক্তাদের মাঝে বিক্রি
- খাগড়াছড়িতে ধর্ষণের অভিযোগে আটক ১
- খাগড়াছড়িতে চার ব্যবসায়ীকে ১৩ হাজার টাকা জরিমানা
- মাটিরাঙ্গায় ৩৩ হাজার টাকার জাল নোটসহ দুই যুবক আটক
- রাঙামাটির গর্ব বক্সার সুর কৃষ্ণ চাকমা
- ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির প্রথম নারী জেলা প্রশাসক শ্রাবস্তী রায়
- পাহাড়ে সরকারি খাস ভূমি দখলের নিত্য নতুন কৌশলে উপজাতি সন্ত্রাসীরা
- বিজিবির গুইমারা সেক্টরের ৯ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত
- দু’দিনের অবকাশ যাপনে সাজেক যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি
- বদনাম রটাচ্ছে অগাস্টিনা, সুনাম কুড়াচ্ছে বক্সার সুরা কৃষ্ণ চাকমা
- রামগড়ে ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ মিথ্যা: দাবি শিক্ষকের পরিবারে