• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক খাগড়াছড়ি
সর্বশেষ:
৩ শতাংশের বেশি শেয়ার দর কমতে পারবে না- বিএসইসি ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে মে থেকেই অভিযান- মেয়র তাপস ব্যাংক একীভূত হলেও আমানত সুরক্ষিত থাকবে: বাংলাদেশ ব্যাংক র‍্যাবের নতুন মুখপাত্র কমান্ডার আরাফাত থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা আপিল বিভাগে নিয়োগ পেলেন আরও ৩ বিচারপতি রোহিঙ্গা ইস্যুতে ভারত বাংলাদেশের পাশে আছে : ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী সাজেকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ল ট্রাক, নিহত ৯ ডিজিটাল জরিপকালে জমির মালিকদের জানাতে হবে- ভূমিমন্ত্রী বিমানবন্দর-গাজীপুর বিআরটি করিডোরের জন্য কেনা হচ্ছে ১৩৭টি এসি বাস ৯ মাসে রাজস্ব আয়ে ১৫.২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন প্রধানমন্ত্রী জাতীয় সংসদের সব উন্নয়নের পৃষ্ঠপোষক: স্পিকার কাতারের আমিরকে আরও কর্মী নেয়ার আহ্বান রাষ্ট্রপতির বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগ চাইলেন রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রীর থাইল্যান্ড সফরে সই হবে ৫ চুক্তি ও সমঝোতা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী নাফনদীতে ২ জেলেকে গুলি: বিজিপিকে প্রতিবাদলিপি পাঠাল বিজিবি রাষ্ট্রীয় প্রকল্পে অপচয় কমানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম : শেখ হাসিনা রাজধানীর জনবহুল পয়েন্টে ৬ ঘণ্টা খাবার পানি সরবরাহ করবে ঢাকা ওয়াসা মিয়ানমারে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের ২৪ এপ্রিল ফিরিয়ে আনা হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেলস্টেশনে বসেছে ভেন্ডিং মেশিন, যাত্রীরাই কাটবে নিজের টিকিট বার কাউন্সিলের নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী সাবেক উপমন্ত্রী ফখরুল ইসলাম মুন্সীর মৃত্যু এ মাসেই শেষ হচ্ছে কালুরঘাট সেতুর সংস্কার পটুয়াখালী-১ আসনের সংসদ সদস্য শাহজাহান মিয়ার মৃত্যু পূজামণ্ডপ ও হিন্দুদের বাড়িঘর পাহারা দেওয়ার নির্দেশ আ.লীগের ‘স্মার্ট বাংলাদেশ পুরস্কার’ পেল এনটিএমসি ২৮ অক্টোবর বিএনপির পরিণতি ১০ ডিসেম্বরের মতো হবে: কাদের মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশ উদ্বোধনের তারিখ পরিবর্তন স্বাধীনতাবিরোধীরা অঘটন ঘটানোর প্রয়াস চালাচ্ছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গাজায় স্থল অভিযানের জন্য সেনাবাহিনীকে প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ: প্রধানমন্ত্রী সীমান্তে সর্বোচ্চ পেশাদারত্বের সঙ্গে কাজ করতে হবে আজ মহাষষ্ঠী, শারদীয় দুর্গাপূজা শুরু ভারত থেকে সরিয়ে নেয়া হল কানাডার ৪১ কূটনীতিক শুরু হচ্ছে মাঠ পর্যায়ে নির্বাচনি সামগ্রী পাঠানো ১৫০ সেতুসহ বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী ফিলিস্তিনের দখল করা জায়গাগুলো ফেরত দিতে হবে: প্রধানমন্ত্রী ফিলিস্তিনে যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর, শনিবার শোক পালন করবে বাংলাদেশ দেশে অবৈধ অস্ত্রের প্রবেশ ঠেকানোর নির্দেশ গ্রাম আদালত হচ্ছে দেশের ৪৪৫৭ ইউনিয়নে রেমিটেন্স আয়ে বড় প্রবৃদ্ধি, শঙ্কা কাটছে রিজার্ভ নিয়ে জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি চূড়ান্ত বঙ্গবন্ধু টানেলের দুই প্রান্তে বসছে স্ক্যানার আজ উদ্বোধন হচ্ছে ১৬৪ সেতু ও ওভারপাস জাতিসংঘে গাজা যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন রোনালদিনহো ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধে মুসলিম বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান পূজোর প্রস্তুতি শেষ, অপেক্ষা উৎসবের বাংলাদেশ সব সময় ফিলিস্তিনের পাশে আছে: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধান থাকবেন- কাদের টেকসই প্রত্যাবাসনই রোহিঙ্গা সমস্যার একমাত্র সমাধান- পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিলিটারি পুলিশ সপ্তাহ উদ্বোধন করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান রোহিঙ্গাদের জন্য ৫৫ লাখ ডলার সহায়তার ঘোষণা যুক্তরাজ্যের গুইমারায় জয় স্মার্ট ট্রেনিং সেন্টারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন খাগড়াছড়িতে সামাজিক সুবিধাভোগীদের নিয়ে জনসমাবেশ অনুষ্ঠিত খাগড়াছড়িতে সেনাবাহিনী প্রধান কুচকাওয়াজ ও নবীন সেনা সদস্যদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠিত রামগড় থানার আরও এক পুলিশ সদস্য ফেনসিডিলসহ আটক পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের বাংলাদেশ দল ঘোষণা গাজার হাসপাতালে হামলার দায় অস্বীকার ইসরায়েলের, নিহত বেড়ে ৫০০ অস্ত্র বানানোর টাকা বিশ্বের উন্নয়নে ব্যয় হোক: প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন কোর ও রেজিমেন্টে সেনাবাহিনী প্রধান কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত রোহিঙ্গাদের নিরাপদ এবং মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন চায় যুক্তরাষ্ট্র অস্ত্রের খেলা বন্ধ করেন: বিশ্বনেতাদের প্রতি শেখ হাসিনা ডিসেম্বরের মধ্যে আর্থিক প্রতিষ্ঠানে মূলধন ঘাটতি কমানোর নির্দেশ নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদনে বাংলাদেশকে সহায়তা দেবে নরওয়ে আগামী বছর চালু হচ্ছে কমোডিটি এক্সচেঞ্জ দোহাজারী-কক্সবাজার রেলরুটে ট্রায়াল রান ২ নভেম্বর মাটিরাঙ্গা জোনের মা‌সিক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলা, নারী-শিশুসহ নিহত ৭১ জয়িতা টাওয়ার উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী খাগড়াছড়ির মণ্ডপে মণ্ডপে পূজার প্রস্তুতি চালু হচ্ছে দেশের প্রথম অটিস্টিক মডেল স্কুল ভারত জয়ের মিশনে মুশফিকের সামনে মাইলফলক ঢাকা মেডিক্যালসহ জেলা-উপজেলার হাসপাতালগুলোকে আরও উন্নত করা হবে: প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলা কঠিন- মালদ্বীপ নদী বাঁচাতে পানিপ্রবাহের ব্যবস্থা নিশ্চিতের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর এ বছর চাল আমদানি করতে হয়নি: খাদ্যমন্ত্রী এসএসসির ফরম পূরণ শুরু ৩০ অক্টোবর দুই মন্ত্রীর সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ বৈধ পরিবেশমন্ত্রীর সঙ্গে সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ আবার ক্ষমতায় এলে ঢামেক ৫ হাজার শয্যার হবে- প্রধানমন্ত্রী নতুন কালুরঘাট সেতুর কাজ শুরু হবে ২০২৪ সালেই ধনী দেশগুলোও বিনামূল্যে টিকা দেয়নি: প্রধানমন্ত্রী পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ৮০ প্রকল্প উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী আলুটিলায় যাত্রীবাহী বাস উল্টে একজন নিহত ইসরায়েলি সেনাদের অতি বলপ্রয়োগের নিন্দা বাংলাদেশের সেনা মোতায়েন হবে সংসদ নির্বাচনে: ইসি আলমগীর খাগড়াছড়িতে ভূমিকম্প ও অগ্নিকান্ড বিষয়ক মহড়া অনুষ্ঠিত নজরদারির আওতায় থাকবে দীঘিনালার ১০টি দূর্গাপূজা মন্ডপ শারদীয় দূর্গাপুজা উপলক্ষে সহায়তা প্রদান করল খাগড়াছড়ি জোন স্মার্ট ভূমি সেবায় এজেন্ট নিয়োগ দিচ্ছে সরকার নভেম্বর থেকে চালু হচ্ছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মিড ডে মিল করমুক্ত সুবিধা পাবে সর্বজনীন পেনশন স্কিম শর্ত না দিলে বিএনপির সঙ্গে সংলাপের চিন্তা করা হবে: কাদের রাজধানীতে ডিজিসিএ’র সম্মেলন শুরু আজ ইসরায়েল-গাজা সংকট: বিশেষ জরুরি সভা ডেকেছে ওআইসি শিক্ষামন্ত্রীর আশ্বাসে শিক্ষা ক্যাডারদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার রঙতুলির কারুকাজে চলছে দুর্গাপূজার শেষ সময়ের প্রস্তুতি শ্রীলঙ্কা অধিনায়কের বিশ্বকাপ শেষ ঢাকায় এসেছেন আইকাও কাউন্সিল প্রেসিডেন্ট রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন প্রধানমন্ত্রী যেভাবে হোক দেশে নির্বাচন হবেই, জনগণ ভোট দেবে: শেখ হাসিনা মানুষ আর অন্ধকারে ফিরে যাবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অবরুদ্ধ গাজায় কী ঘটছে? ২৮ অক্টোবর বঙ্গবন্ধু টানেল খুলে দেয়ার প্রস্তুতি চলছে ক্ষুধা সূচকে তিন ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ সংক্ষিপ্ত আকারে পাবলিক পরীক্ষার ক্ষমতা পাচ্ছে শিক্ষা বোর্ড চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলের টেস্ট ট্রায়াল কাল দুর্যোগ মোকাবিলায় আমাদের সক্ষমতা বেড়েছে: প্রধানমন্ত্রী আগুন-সন্ত্রাস করলে বিএনপিকে পরিণতি ভুগতে হবে: আহম্মদ হোসেন খাগড়াছড়িতে ভারতীয় সিগারেটসহ আটক ৭ বাংলাদেশ সবসময় ফিলিস্তিনের পক্ষে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী জমে উঠেছে চামড়াজাত পণ্যের আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী ভেঙ্গে পড়ছে গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ১১৩ জনকে মানবিক কাজের স্বীকৃতি দিল সেনাবাহিনী রূপপুরে পৌঁছাল ইউরেনিয়ামের তৃতীয় চালান সারাদেশে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত এবার খেলা হবে ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে- ওবায়দুল কাদের আ.লীগ-যুবলীগের তিন কর্মসূচি ঘোষণা খাগড়াছড়িতে দিনমজুরের মেয়ের বিয়ে দিলো সেনাবাহিনী ৪৩ বিজিবির অভিযানে ভারতীয় মদ ও গাজা জব্দ লেবানন গেলেন নৌবাহিনীর ৭৫ সদস্য লোকে লোকারণ্য আওয়ামী লীগের সমাবেশস্থল আরিফিন শুভর অভিনয়ে বিস্ময় প্রকাশ প্রধানমন্ত্রীর উত্তর গাজার ১১ লাখ মানুষের স্থানান্তর চায় ইসরায়েল: জাতিসংঘ সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত ইসি বর্জ্য ব্যবস্থাপনা শিখতে চট্টগ্রামে দ. সুদানের প্রতিনিধি দল উপপরিচালকের ক্ষমতা বাড়িয়ে কারিগরি শিক্ষা অধিদফতরের পরিপত্র জারি চবির ২৫৬ জন শিক্ষার্থী পেলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ শেষ মুহূর্তে নাটকীয় ড্র বাংলাদেশের ইসরায়েল ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালালেও দোষারোপ করা হচ্ছে ফিলিস্তিনকে- রাষ্ট্রদূত বিএনপিকে সন্ত্রাসের খেলা খেলতে দেয়া হবে না- কাদের উপজাতি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী কর্তৃক বসত বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ ‘মুজিব’র বিশেষ প্রদর্শনীতে প্রধানমন্ত্রী, করলেন মুক্তি ঘোষণা ৯ নভেম্বর উন্মোচন হচ্ছে যোগাযোগের আরেক দ্বার গাজায় ৩ লাখ ৩৮ হাজারের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত: জাতিসংঘ মালদ্বীপের বিপক্ষে অভিষেক হচ্ছে দুই ফুটবলারের বাংলাদেশকে ৩৪ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে এডিবি নতুন হচ্ছে পুরান ঢাকা এ মাসেই চালু হচ্ছে ৪৩টি নতুন ফায়ার স্টেশন গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামে যোগ দিতে ব্রাসেলস যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী মাটিরাঙ্গায় ৫৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীপালন করল শ্রমিক লীগ দীঘিনালায় উপকারভোগীদের নিয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশ অনুষ্ঠিত পানছড়িতে খাগড়াছড়ি জোনের শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে মার্কিন প্রতিনিধি দল বিদেশি পর্যটক টানতে আসছে ই-ভিসা কৃষির সবচেয়ে বড় প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন নির্বাচনের আগে ষড়যন্ত্র নিয়ে চিন্তা করবেন না: শেখ হাসিনা খাগড়াছড়ি রিজিয়নের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত পানছড়িতে বিদেশি সিগারেটসহ দুইজন আটক ভোট কারচুপি করে কেউ পার পাবে না- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় ২৬০ শিশু নিহত ডলারে ঋণ পাবেন রপ্তানিকারকরা চলতি মাসেই ১০৩ সহকারী জজের যোগদান নির্বাচন পর্যবেক্ষক হিসেবে নিবন্ধন পেল ৬৭ সংস্থা অনলাইনে মনোনয়ন জমা দিতে পারবেন এমপি প্রার্থীরা রামগড়ে গভীর রাতে পাহাড় কাটার দায়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা যুক্তরাষ্ট্র থেকে ইসরায়েলে পৌঁছেছে সামরিক সরঞ্জাম জরিমানাও গুনতে হচ্ছে সাকিব আল হাসানদের ৪৩ বিজিবির অভিযানে ভারতীয় মদ জব্দ শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে সেনাবাহিনীর শুভেচ্ছা উপহার প্রদান আবারো কমলো পেঁয়াজের দাম শ্রমিকদের অভিবাসন খরচ ফেরত দিচ্ছে মালয়েশিয়ান কোম্পানি ইংল্যান্ডের কাছে বড় ব্যবধানে হার বাংলাদেশের অনেক ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত হচ্ছে, কিন্তু আমার ভরসা দেশের মানুষ- শেখ হাসিনা গুইমারায় শিক্ষার্থীদের মাঝে আর্থিক অনুদান বিতরণ ‘ইসরায়েলে হামাসের ১৫০০ যোদ্ধার লাশ উদ্ধার’ মার্কিন পর্যবেক্ষকদের কাছে করণীয় পদক্ষেপ তুলে ধরেছে ইসি ফরিদপুরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি প্রধানমন্ত্রীর টিকিট কেটে ট্রেনে পদ্মা সেতু পাড়ি দিলেন প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদে ৩৮ জনকে নিয়োগ দেবে খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ খাগড়াছড়িতে ট্রাফিক সচেতনতায় র‌্যালি-আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত পদ্মা রেল সেতু উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানস্থলে প্রধানমন্ত্রী, অপেক্ষা হুইসেলের ফরিদপুরে প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় জনসমাগম হবে দুই লাখ লোকের ইসরায়েলে নিহত বেড়ে ৯০০, গাজায় ৬৯০ উদ্বোধনের এক সপ্তাহের মধ্যে যাত্রীবাহী ট্রেন চলবে: রেলমন্ত্রী পদ্মা রেলসেতুতে ট্রেন চলাচল উদ্বোধন আজ বাংলাদেশের ইংলিশ পরীক্ষা আজ খাগড়াছড়িতে চোরাইপথে আসা ভারতীয় কাপড়সহ গ্রেপ্তার ১ বাংলাদেশ থেকে প্রথম বিশ্বসেরা সুন্দরী হতে লড়বেন অনন্যা পদ্মা সেতু হয়ে ছুটবে ট্রেন, প্রধানমন্ত্রীকে বরণে প্রস্তুত মাওয়া মেয়াদোত্তীর্ণ ইউপিতেও বসবে প্রশাসক বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার কোনো শঙ্কা নেই: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জিম্মি ইসরায়েলি নারীদের পরিবর্তে বন্দি ফিলিস্তিনিদের চায় হামাস অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচন নিয়ে বিএনপির সঙ্গে সমঝোতার সুযোগ নেই- মার্কিন প্রতিনিধিদের আওয়ামী লীগ দীঘিনালায় উন্নয়ন বোর্ড চেয়ারম্যানের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত মানিকছড়িতে অসহায়, প্রতিবন্ধী ও মেধাবী শিক্ষার্থীর মাঝে অনুদান বিতরণ মানিকছড়িতে চোলাইমদ ও সিএনজিসহ দুই মাদক ব্যবসায়ী আটক খাগড়াছড়িতে শুরু হলো বঙ্গবন্ধু জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট খাগড়াছড়িতে যুবলীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ অনুষ্ঠিত ৩ লাখ রিজার্ভ সৈন্য ডেকেছে ইসরায়েল ৪৩ বিজিবির অভিযানে বিভিন্ন প্রকার কাঠ জব্দ দুপুরে মার্কিন প্রাক-নির্বাচন পর্যবেক্ষক দলের সঙ্গে আ.লীগের বৈঠক হামাসের হামলায় ৭০০ ইসরায়েলি নিহত, আহত প্রায় ২২০০ বাড়লো আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সুদহার ৬ দিনে রেমিট্যান্স এলো ৩২ কোটি ৫১ লাখ ডলার ৩০ নভেম্বরের মধ্যে উপজেলায় পৌঁছাবে প্রাথমিকের বই ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত: যুদ্ধবিরতির আহ্বান বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ ফলাফল বাতিলের দাবিতে খাগড়াছড়িতে মানববন্ধন খাগড়াছড়ি সেক্টর আন্তঃ ব্যাটালিয়ন বাস্কেটবল প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন বাবুছড়া ব্যাটালিয়ন মানিকছড়িতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা শেষবারের মতো ভর্তির সুযোগ পেলেন আরও ২২০০ শিক্ষার্থী রোহিঙ্গাদের মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তন চায় জাপান বৃহস্পতিবার দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী হামাসের হামলায় ইসরায়েলে নিহত বেড়ে ৩৫০ খাগড়াছড়িতে অসহায়দের মাঝে অনুদান ও সেলাই মেশিন বিতরণ যথাসময়ে ভোটের প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন বিশ্বব্যাংক-আইএমএফ বৈঠক কাল রামগড় বিজিবির অভিযানে ভারতীয় মদ জব্দ আফগানিস্তানে ভূমিকম্পে নিহত ছাড়াল ৩২০, নিশ্চিহ্ন ১২ গ্রাম জরুরি বৈঠক ডেকেছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ হামাসের হামলায় ইসরায়েলে নিহত ৩০০, লড়াই অব্যাহত ইসরায়েলে হামাসের হামলায় নিহত ১০০, পাল্টা হামলায় নিহত ২০০ মাটিরাঙ্গায় ভ্রাম্যমান ভূমি সেবার উদ্বোধন খাগড়াছড়িতে গায়ে কেরোসিন ঢেলে দুই শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যার চেষ্টা আফগানদের হারিয়ে বিশ্বকাপ শুরু টাইগারদের শাহজালাল হবে বিমান যোগাযোগের আন্তর্জাতিক হাব: প্রধানমন্ত্রী দেশে বেকারত্বের হার ৩ দশমিক ২ এখন নামমাত্র: প্রধানমন্ত্রী দৃষ্টিনন্দন তৃতীয় টার্মিনালের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী করমুক্ত থাকবে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের অর্থ বাড়ছে ব্যাংক আমানতের সুদহার ক্রয় আইন সংস্কার: কমবে একক ঠিকাদারের আধিপত্য পারমাণবিক শক্তিতে সাফল্য: বাংলাদেশকে প্রশংসা আইএইএ প্রধানের শেখ হাসিনার হাত ধরে রেলবিপ্লবের দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ থার্ড টার্মিনালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতু দিয়ে ছুটবে ট্রেন, উচ্ছ্বসিত দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ শাহজালালের তৃতীয় টার্মিনাল উদ্বোধন আজ পরিত্যক্ত ভবন থেকে ১১৫ জনের গলিত মরদেহ উদ্ধার তৃতীয় টার্মিনালে উদ্বোধনী ফ্লাইট ও গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ে বিমান টাইগারদের বিশ্বকাপ মিশন শুরু আজ বিশ্বকাপে টাইগারদের শুভকামনা জানালো আর্জেন্টিনা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস উদযাপন জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস উদযাপন মাটিরাঙ্গায় জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস পালিত দীঘিনালায় জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস পালিত ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য ‘১৯৭১ সেই সব দিন’র বিশেষ প্রদর্শনী বড়লোক ও সাধারণদের জন্য বিদ্যুতের দামে আলাদা স্লট করবো বিএনপি যা বলে তার সবই মিথ্যা- প্রধানমন্ত্রী সিকিমে বন্যায় প্রাণহানি বেড়ে ৪০, নিখোঁজ শতাধিক ভারী বর্ষণে চট্টগ্রামে পাহাড় ধসের আশঙ্কা রূপপুরে পৌঁছালো ইউরেনিয়ামের দ্বিতীয় চালান শাহজালালের তৃতীয় টার্মিনাল: এভিয়েশন শিল্পের গেম চেঞ্জার আট বছরে আত্মসমর্পণ করেছে ৩১ জঙ্গি আরও ৬ জেলায় নতুন বিশ্ববিদ্যালয় করার উদ্যোগ খাগড়াছড়িতে শুরু হল তাঁত ও হস্তশিল্প মেলা সিরিয়ায় সামরিক কলেজে ড্রোন হামলায় নিহত ১০০ কাল ঢাকায় আসছে মার্কিন প্রতিনিধিদল বিজিবির অভিযানে ভারতীয় মদ ও ঔষধ জব্দ

নাদিয়া মুরাদের জীবনী অবলম্বনে

দ্য লাস্ট গার্ল, পর্ব-৬

দৈনিক খাগড়াছড়ি

প্রকাশিত: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯  

ছবিঃ সংগৃহিত

ছবিঃ সংগৃহিত

 

কোচোর অবস্থান ছিল মূলত পর্বতের পাদদেশ থেকে বহু দূরে, যেখানে প্রায় একেবারেই বিচ্ছিন্ন পরিবেশে আমাদের বসত গড়ে উঠেছিল। আমাদের গ্রামের নতুন ইয়াজিদিরা বহু পুরাতন ইয়াজিদি ঐতিহ্য আচার ও রীতিনীতি ভক্তির সাথে পালন করতো।  নারীরা দাদী-নানীদের মতো স্কার্ফ মাথায় বাঁধতো, আর পায়ের পাতা অবধি লম্বা সাদা মসৃণ পোশাক পরতো। ঐতিহ্যবাহী নাচ-গান ছিল বিবাহ এবং অন্যান্য সামাজিক আনন্দ অনুষ্ঠানের অংশ। অগণিত ইয়াজিদি যখন এইসব গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় রীতিনীতি ও ঐতিহ্যবাহী আচার অনুষ্ঠান ত্যাগ করতে শুরু করেছিলো আমরা তখন সেই পাপ মোচনের জন্য দীর্ঘ উপবাস করেছি। কিন্তু আমরা কখনোই আমাদের মানুষদের ওপর অসন্তুষ্ট হইনি, কারণ আমাদের সম্পর্ক ছিল গভীর বন্ধনে আবদ্ধ। সম্পত্তি অথবা বিবাহ বিষয়ক দ্বন্দ্বে আমরা কখনো কখনো জড়িয়ে যেতাম বটে তবে সেটা ছিল নেহায়েত সাময়িক। এইসব বিষয় আমাদের গভীর ভালবাসা আর বন্ধনের নিকট অতি তুচ্ছ ব্যাপার ছিল মাত্র।  গ্রামবাসীরা গভীর রাত পর্যন্ত একে অপরের বাড়ীতে অনায়াসে সৌজন্য সাক্ষাৎকারে যেত এবং গ্রামের পথে নির্ভয়ে চলাফেরা করতো। গ্রামে বেড়াতে আসা পর্যটক অথবা পথিকরা বলতো অন্ধকারেও কোচোর দ্যূতি বিচ্ছুরিত হয়, আর তার ঝলক নজরে আসে সেই সুদূর আফার থেকেও। একদিন এক পর্যটক নাকি বলেছিলেন— কোচো হচ্ছে দ্যা প্যারিস অফ সিনজার।

 

মূলত কোচো ছিল শিশু-কিশোরে মুখরিত যৌবনের ঐশ্বর্যে পরিপূর্ণ এক গ্রাম। খুব স্বল্প সংখ্যক বয়োবৃদ্ধ মানুষ ছিল যারা প্রথম সারির কৃষি কাজের সাক্ষ্য বহন করছিলো। ফলস্বরূপ আমাদের অধিকাংশ অধিবাসীরই বদ্ধ ধারণা ছিল পৃথিবী এখন সভ্যতার সেই শিখরে পৌছে গেছে, আধুনিকতার সেই চুড়ান্ত রূপ অর্জন করেছে যেখানে ধর্মের জন্য আর হত্যাকান্ডের মতো নির্মমতা ঘটবে না। এটা তাদের কল্পনারও অতীত ছিল। শুধুমাত্র ধর্মের আক্রোশে একটা সম্পূর্ণ জাতিগোষ্ঠীকে এভাবে হত্যা করা যেতে পারে। অন্তত এই ভাবনা আমাকে গ্রাস করে রাখে। অতীতে ধর্মের জন্য বর্বর হত্যাকান্ডের ইতিহাস রূপকাহিনীর মতো শুনে আমরা বড় হয়েছি। আর এই ইতিহাস আমাদের একত্রিত করেছে সম্পর্কের দৃঢ় বন্ধনে। তুর্কিতে বসবাসরত ইয়াজিদিরা অত্যাচারের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য কিভাবে পালিয়েছিল সেই গল্প আমরা শুনেছি আমাদের এক বন্ধুর মায়ের কাছে থেকে। আমার সেই বন্ধুর মা তুর্কি থেকে পালিয়ে প্রাণ রক্ষা পেয়েছিলেন। ভয়াবহ লোমহর্ষক ছিল মা আর বোনের সাথে পলায়নের সেই গল্প। কোন রকম খাদ্য আর পানীয় ছাড়া দিনের পর দিন লুকিয়ে ছিল পাহাড়ের গুহায়।

 

তাদেরকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য শেষপর্যন্ত মা তার চামড়া সেদ্ধ করে খেতে দেয়। এই গল্প যখনই শুনতাম, আমার পেটের ভেতর যন্ত্রণায় মোচড়াতো। আমি তখন ভাবতাম, না খেতে খেতে মরে গেলেও আমি কখনো চামড়া সেদ্ধ খেতে পারবো না। আমার মনে হয় এটা শুধুমাত্র গল্পই ছিল।

 

তবে এটা স্বীকৃত যে, কোচোর জীবনযাত্রা ছিল খুব কঠিন। আর বলতেও দ্বিধা নাই, কোচোর শিশুরা, তা সে যত আদরেরই হক না কেন, তারা ছিল পিতামাতার নিকট বোঝা স্বরূপ। কারণ এই সন্তানদের মুখে আহার্য তুলে দেয়ার জন্য পিতামাতাদের দিবারাত্রি কঠোর পরিশ্রম করতে হতো। যখন কোচোর শিশুরা অসুস্থ হতো,এবং আয়ুবেদিক চিকিৎসাতে নিরাময় হতো না, তখন তাদেরকে ডাক্তার দেখানোর জন্য নিয়ে যেতে হতো সিনজার শহরে অথবা মোজালে। আমাদের পোশাক পরিচ্ছেদের অধিকাংশ আমার মা নিজ হাতে সেলাই করে বানাতো। পরবর্তী সময়ে যখন আমাদের হাতে কিছু টাকা আসে, বছরে শুধুমাত্র একবার মার্কেটে গিয়ে শপিং করার সুযোগ হতো। সাদ্দামকে ক্ষমতা থেকে সরানোর জন্য যখন ইউনাইটেড ন্যাশনস নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে তখন আমরা সর্বপ্রথম চিনি ক্রয় করতে সক্ষম হই। আর সেই আনন্দে আমরা সবাই কোরাসের মতো চিৎকার দিয়ে কেঁদেছিলাম।

 

দীর্ঘ অপেক্ষার পর আমাদের গ্রামে সর্বপ্রথম প্রাইমারী স্কুল প্রতিষ্ঠিত হয়। এবং তারও বহু বছর পরে প্রতিষ্ঠিত হয় মাধ্যমিক স্কুল। গৃহকর্ম, কৃষিকাজে সহযোগীতার পরিবর্তে সন্তানদের স্কুলে পাঠালে কী সুফল বয়ে আনবে সে সম্পর্কে মাতাপিতারা অবহিত ছিল না। সন্তানদের শিক্ষাপ্রদানের ব্যাপারে ইয়াজিদি জনসাধারণ দীর্ঘ সময় ধরে বিরোধীতা করেছে। এই বিরোধীতা শুধুমাত্র রাষ্ট্র নয়, ধর্মীয় নেতারাও এর বিরোধীতা করেছেন। এর অন্যতম কারণ ছিল রাষ্ট্রের অন্তসম্পর্কীয় বিবাহ-রীতিতে বিশ্বাস। সুতরাং ইয়াজিদি ধর্মীয় নেতারা ভীত ছিল যে— এরকম আন্ত:বিবাহের ফলে ইয়াজিদিদের ধর্ম এবং জাতিস্বত্তা নষ্ট হতে পারে ভেবে। এদিকে মাতাপিতার জন্য পারিশ্রমিকবিহীন শ্রমিক হারাবার ভয় ছিলো। এছাড়াও মাতাপিতা নিশ্চিত ছিল না যে, এই শিক্ষা অর্জনের ফলে তাদের সন্তানরা কোথায়, কোন পেশার চাকুরি নিশ্চিত করবে। কারণ কোচোতে কোন রকম চাকুরির বাজার ছিল না। আর কোচোর বাইরে ইয়াজিদি সমাজ থেকে বহু দূরে চাকরি করতে তারাই যেত যারা ছিল খুব সাহসী এবং উচ্চাকাঙ্খী।

 

কিন্তু প্রায়শই মা বাবার  ভালবাসা দ্রুত যন্ত্রণা-বেদনায় বদলে যেত। ক্ষেতখামারী জীবন ছিল সব সময়ের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ এবং দূর্ঘটনা ছিল নিত্য সঙ্গী।

 

আমার মা সব সময়ই তার জীবনের ভয়ংকর স্মৃতির ভেতরে বসবাস করেছে। সে আমাদের বহুদিন শুনিয়েছে তার কিশোরী বয়সের লোমহর্ষক এক দূর্ঘটনার গল্প। তখন সে সবেমাত্র কিশোরী থেকে যুবতী হয়ে উঠছে।  সেই সময়টায় তার বড় বোনকে পারিবারিক গমের ক্ষেতের মাঝখান  থেকে ট্রাক্টরে তুলে নিয়ে হত্যা করা হয়েছিলো। বোনের মৃতদেহ ছুঁড়ে ফেলে হত্যাকারীরা পলায়ন করেনি বরং সদর্পে বীরের মতো  ক্ষেতের মাঝখান দিয়ে ট্রাক্টর চালিয়ে মহড়া দিয়েছিলো।

 

অসুস্থতা হলো আরেকটা ব্যয়বহুল যন্ত্রণা। কখনো কখনো অসুস্থতার চিকিৎসা হলো অত্যান্ত ব্যয়বহুল কর্মকান্ড। এরমধ্যে আমার ভাই জোলো এবং তার স্ত্রী জীনানের এর একের পর এক সন্তান জন্মগ্রহণ করে। এবং জন্মের পরেই তারা মারা করে। জীনানের রক্তে কোন সমস্যার কারণে মায়ের গর্ভ হতে বিভিন্ন অসুখ নিয়ে শিশুগুলো জন্মগ্রহণ করতো। এই রোগের চিকিৎসা ছিল অত্যান্ত ব্যয়বহুল। তাদের দুজনার আট সন্তানের মধ্যে চারজন জন্মের পরপরই এই অসুখে মৃত্যু বরণ করে।

 

বিবাহ বিচ্ছেদ ছিল অন্যতম আরেকটি সামাজিক যন্ত্রণা। ইয়াজিদি সমাজে শুধু নয়, সমগ্র ইরাকের একই চিত্র। ডিভোর্স আমার বোন দিমিল’র বুক থেকে কেড়ে নেয় তার তিনটা সন্তানকে। কী কারণে বিবাহ বিচ্ছেদ সংঘটিত হচ্ছে সেটা বিবেচ্য বিষয় নয়। যেকোন বিবাহ বিচ্ছেদের পরিণাম হলো নারী তার নুন্যতম অধিকার থেকেও বঞ্চিত হয়। 

 

আমি জন্মগ্রহণ করেছি প্রথম গালফ যুদ্ধের ঠিক দুই বছর পর। আর ইরাক-ইরান যুদ্ধের ঠিক পাঁচ বছরের শেষ সময়ে। আমি শুনেছি আট বছরের বিরোধের ফল ইরান-ইরাক যুদ্ধের অযৌক্তিক পরিণতি। এবং সেই সাথে সাদ্দামের নিজের দেশের জনগণকে ইচ্ছা মতো নির্যাতন করার বাহানা। যুদ্ধে যে সব সন্তানেরা প্রাণ দিয়েছে তাদের স্মৃতি সারা বাড়িতে প্রেতাত্মার মতো ঘুরে বেড়াত। যুদ্ধে প্রথম পুত্রকে হারানোর পর আমার বাবা তার মাথার বেনী কেটে ফেলে। আর আমার আরেক ভাই মৃত ভাইয়ের নাম ধারণ করে। কিন্তু আমার বাবা তাকে ‘হেনজি’ নামেই ডাকতো। হেনজি নামের অর্থ ”স্যাডনেস”।

 

আমরা আমাদের জীবনকে পরিমাপ করতাম ফসলের উৎপাদন আর কতগুলো ছুটির দিন কপালে জুটলো, তার সাথে। কখনো কখনো ঋতু হতো নিষ্ঠুর। বিশেষ করে শীতের সময় মাটি জমাট বাঁধা সিমেন্টের মতো শক্ত হতো। আর সেই মাটিতে সহজেই ক্ষয়ে যেত পায়ের জুতা। আর গ্রীস্মের সময় এত বেশি উষ্ণ হতো যে সূর্যের তাপে জ্ঞান হারাবার ভয়ে আমরা সূর্য অস্ত যাওয়া পর্যন্ত ক্ষেতের ভেতর অপেক্ষা করতাম।   অতিরিক্ত গরমে কখনো কখনো শস্য একেবারেই নষ্ট হয়ে যেত। যখন এই রকম দুর্যোগ নেমে আসতো তার পরিণাম ভোগ করতে হতো মাসের পর মাস। পরবর্তী বীজ বপনের পূর্ব পর্যন্ত চলতে থাকতো এই দশা। তবে কি পরিমাণ বীজ বপন করলাম সেটার ওপর আমাদের ভাগ্যের পরিবর্তনের কিছুই নির্ভর করতো না।  কারণ কখনোই আমরা পর্যাপ্ত পরিমাণ অর্থ আয় করতে পারতাম না। আমরা কঠিন বাস্তবতার ভেতর দিয়ে সব রকমের অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি। ক্ষেতের ফসল মাঠ থেকে বোঝা বেঁধে বাজারে নিয়ে আসতে হতো। ইচ্ছামতো ক্রেতারা সেসব নাড়াচাড়া করে কখনো ক্রয় করতো, কখনো উল্টেপাল্টে ফেলে রেখে চলে যেত। তার থেকে কিছু ফসল বিক্রি হতো, কিছু হয়তো হতো না। বার্লি আর যবে মুনাফা আসতো সব চাইতে বেশি। পেয়াজ বিক্রি হতো, তবে তার পরিমাণ খুব সামান্য। যে বছর টমেটোর ফলন অধিক হতো সে বছর সবজি পচন রক্ষা করার জন্য কৃষি পশুদের অতিরিকক্ত ফসল খাইয়ে দিতে হতো।

 

কিন্তু জীবন যত কঠিন হক না কেন, আমি কখনো কোচো ছেড়ে কোথাও যেতে চাইনি। শীতের মৌসুমে পায়ে চলা পথ কঠিন কাদা মাটিতে হয়ত হাঁটার অযোগ্য হয়ে যেত, কিন্তু ভালবাসার মানুষদের সাথে, আপনজনদের সাথে সাক্ষাতের জন্য কখনো আমাদেরকে দূরে যেতে হতো না। গ্রীষ্মে যখন গরম হাওয়ার দাপটে শ্বাসরোধ হয়ে আসতো, তার অর্থ আমাদের কাছে ছিল ভিন্ন। এই কঠিন সময় আমাদের জন্য নিয়ে আসতো ভিন্ন আমেজ। আমরা প্রতিবেশিরা সব ছাদের ওপর পাশাপাশি ঘনিষ্ঠ হয়ে সময় অতিবাহিত করতাম। শুয়ে বসে হাসি-গল্প-ঠাট্টা আনন্দে সময় কাটাতাম। প্রতিটি বাড়ির ছাদের ওপরে এই দৃশ্য ছিল গ্রীষ্মের দুপুরের সাধারণ চিত্র। ক্ষেত-খামারে কৃষিকাজ ছিল প্রকৃত অর্থেই কঠিন। কিন্তু আমাদের যা উৎপাদন হতো তাই দিয়ে আমরা আমাদের সাধারন স্বচ্ছল সুখী জীবনের আনন্দ উপভোগ করতাম। সেই শৈশব থেকেই আমি আমার গ্রামকে ভীষণ ভালবাসতাম। কোচোর ঘরগুলো সারা দিনভর কাঠ দিয়ে আমাদের হাতের তৈরি পুতুলে ভরে উঠতো। বড়, মাঝারি, ছোট নানা বয়সী পুতুল আমরা বানাতাম। ক্যাথরিন আর আমি কোচোর খেলাঘর ভরিয়ে তুলতাম নানা আকারের, নানা রকমের পুতুল দিয়ে। তারপর সেই পুতুলদের বিয়ে দিয়ে এক একটা ঘরে তুলে দিতাম। শুধু তাই নয় পুতুলদের চাষাবাদের জন্যও জমি বরাদ্দ করা হতো। বিয়ের আগে কনে পুতুলদের ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখানো হতো তাদের ঘরদোর আর কৃষিকাজের জন্য বরাদ্দ জমিজমা।

 

কোচো হলো সেই ভূমি যেখানে আমার মাতাপিতা পরিবারের সবার বসত। প্রাণের এই কোচো ছেড়ে দূরে কোথাও বসত করতে যাওয়া আমি কল্পনাও করিনি কখনো। আমার পরিবারের সবাই মিলেই যেন আমরা ছিলাম ছোট্ট সুখী একটি গ্রাম। আট ভাইয়ের ভেতরে ইলিয়াস ছিল সবার বড়। যেন ভাই না, একজন পিতা। আর খায়েরি, বর্ডার গার্ডের মতো ঝুঁকিপূর্ণ কাজ নিয়ে সে আমাদের সবাইকে স্বচ্ছল জীবনের স্বাদ দিতে চেয়েছিলো। পিসে ছিল খুব জেদি, একগুয়ে এবং পরিবারের প্রতি একান্ত অনুগত।  আমাদের ওপর যেন কোন বিপদ নেমে না আসে, সদা জাগ্রত এক প্রহরীর মতো সে পাহারা দিয়ে রাখতো সারাবেলা। আর ছিল মাসউদ ছিলো, কোচোর সেরা ফুটবল খেলয়াড়দের মধ্যে অন্যতম। তার জমজ সাউদ, গ্রামের ভেতরে পসার সাজিয়ে বসেছিলো কনভিনিয়েন ষ্টোর। জালো, গ্রামের প্রতিটি মানুষের হৃদয় উজাড় করে দেয়ার জন্য যেন বসে থাকতো। এমন কী অচেনা আগন্তকের জন্যও ওর হৃদয়ের দুয়ার খোলা থাকতো। সুখে দুখে, বিপদে আপদে গ্রামের প্রতিটা মানুষ প্রথমেই স্মরণ করতো জালোকে। প্রাণের ঐশ্বর্যে পরিপূর্ণ ছিল সাইদ। সারাক্ষণ একজন নায়ক হবার স্বপ্নে বিভোর থেকেছে সে। আর স্বপ্নচারী হেনজি যার স্নেহ ভালবাসা পাওয়ার জন্য আমাদের ভেতরে প্রতিযোগীতা লেগেই থাকতো। ছিল আমার দুই বোন, শান্ত-ধীর-স্থির, দিমাল ও আদেকি,  যেন চিরন্তম মমতাময়ী এক মায়ের প্রতিরূপ—আজও মনে পড়ে সেই দিনের কথা, একজন অচেনা মহিলাকে পিকআপ ট্রাক চালাতে দেয়ার জন্য আমার দুই ভাইয়ের সাথে সে কী বাক-বিতন্ডা। আর সেই দিনের কথা—আমাদের  ভেড়া মারা গেলে উঠানে গড়িয়ে গড়িয়ে অবুঝ শিশুর মতো কেঁদেছিল। আর কাঁদতে কাঁদতে একেবারে বেহুশ হয়ে পড়েছিল। বাবার দ্বিতীয় স্ত্রীর সন্তানেরা খালেদ, ওয়ালিদ, হাজ্জি ও নাওয়াফ। আমার সৎ ভাইয়েরা, হালাম ও হাইয়াম আমার দুই সৎ বোন সকলেই আমাদের কাছেই বসত করতো। সৎ হলেও আমাদের ভেতরে ছিল নিবিড় অন্তরঙ্গ সহবস্থান।

 

কোচোতে আমার মা ছিল যেন সকলের জন্য মমতাময়ী এক মা। শুধু আমাদের পরিবারের ভরন পোষণ নয়, গ্রামের প্রতিটা মানুষের মঙ্গল কামনায় তার প্রাণ ছিলো উৎসর্গ করা। গ্রামের একটি বাড়ির উঠানে নয়, বরং তাকে দেখা যেত গ্রামের যেখানেই প্রয়োজন সেখানেই। আর এমন নয় আমি তাকে শেষ দেখে এসেছি সেই গ্রামের বাড়িতে। বরং আমি যেখানেই যাই, সেখানেই তাকে কাছে পাই, সারাক্ষণ সে আমার সাথেই বসত করে। ইরাকের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের সেই ভয়াল দিন গুলোতে তাকে দেখিছি ভয়ানক উদ্বিগ্ন হয়ে ছুটাছুটি করতে যেন আমাদের জীবন ধারণের প্রয়োজনীয় কোন কিছুর অভাব না হয়।  যখন তার হাতে আর কোন অর্থ অবশিষ্ট ছিল না তখন তাকে দেখেছি বার্লি দিয়ে বিনিময় করে প্রয়োজনীয় জিনিস কিনে দিতে। সেই দূর্দিনে পোশাক কেনার মতো অর্থ মায়ের কাছে অবশিষ্ট থাকতো না। বণিকরা যখন মাথায় করে পোশাকের বোঝা নিয়ে আসতো, মা তখন অনুনয়-বিনয় করে আমাদের বাকীতে  পোশাক কিনে দিতো। মাকে এভাবে ফেরিয়ালাদের বাকী দেয়ার ব্যাপারটা একেবারেই অবিশ্বাস্য। শুধু তাই নয়, ফেরিয়ালারা গ্রামে প্রবেশ করে সর্বপ্রথম আমাদের বাড়িতে উপস্থিত হতো। যদি আমার কোন ভাই দেনার ব্যাপারে সাবধান করতো, মা তখন তাদের সাথে ঠাট্টা করে ব্যাপারটা  অগ্রহ্য করতো।

 

গরীবের ঘরে অভাব অনটনে বেড়ে ওঠার কারণে মা চাইতো না তার সন্তানেরা একই কষ্টের ভেতর বেড়ে  উঠুক। অথবা অভাবের তাড়নায় অন্যের নিকট হাত পাতুক। কিন্তু গ্রামবাসী সব সময়ই সাহায্যের জন্য এগিয়ে থেকেছে। প্রায়ই তারা আমাদের ময়দা, কুছকুছ এসব দিয়ে সাহায্য করতো। আজও মনে পড়ে একদিন আমি আমার মায়ের সাথে বাড়ি ফিরছি। মায়ের হাতে একটা ব্যাগের ভেতরে সামান্য কিছু ময়দা। সেটা দুলিয়ে দুলিয়ে হাটছিল। ফেরার পথে মা তার চাচার সাথে দেখা করার জন্য সামান্য বিরতি নেয়। মায়ের চাচা তখন বলে—আমি তোমার মুখ দেখেই বুঝতে পারছি, তোমার সময় ভাল যাচ্ছে না, তুমি আমার কাছে আসতে পারো না সাহায্য নেয়ার জন্য? মা প্রথমে তার মাথা ঝাঁকায় মাত্র, তারপর উত্তর দেয়—আমাদের সবই আছে, কোন কিছুরতো অভাব নাই।

 

কিন্তু সোলাইমান চাচা ছিলেন বিজ্ঞ ব্যক্তি—তিনি বললেন, প্রচুর গম আমার মজুতে আছে, আমার এত গমের প্রয়োজন নাই, তুমি কিছু নিয়ে যেয়ে আমাকে ভারমুক্ত হতে সাহায্য করো। তেলের চারটা বড় খালি  কন্টেইনারে গম ভর্তি  করে আমাদের  বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। সেই গমের আটা দিয়ে দুই মাস রুটি বানানো হয়েছিল। সেই দুঃসময়ে আমাদের কত বড় উপকার হয়েছিল সে গল্প বলতে গিয়ে সব সময়ই  মায়ের দুই চোখ উপচে গেছে অশ্রুতে। সেই দিনগুলোতে মা সব সময়ই প্রতিজ্ঞা করে বলতো—আমি তোমাদের জীবনকে এই সব কষ্ট থেকে রেহাই দেবো। এবং সে তার কথা রেখেছিল। ক্রমশ অভাবমুক্ত হাসি আনন্দে ভরা সুখী জীবনের দিকে আমরা হাটছিলাম। এমন কী যখন টেররিষ্টরা আমাদের সন্নিকটে তখন সে তার কথা রেখে চলেছিল। প্রতিদিন সে আমাদের অভয় দিয়ে বলতো—ঈশ্বর ইয়াজিদিদের রক্ষা করবে ।

 

অগণিত ঘটনা প্রতিটা মূহুর্তে মাকে স্মরণ করিয়ে দেয়। সাদা রং। এটাই সম্ভবত সব চাইতে প্রযোজ্য আর ভাল। ময়ূর—ইয়াজিদি মানুষদের নিকট পবিত্রতার নিদর্শন, আর সকাল বেলার সেই প্রার্থনা—কোন পাখির ছবি দেখলেই আমার মনে পড়ে যায়। একুশটি বছর আমার মাকে কেন্দ্র করে দিন এভাবেই আবর্তিত হয়েছে। রুটি বানানোর জন্য সে সবার আগে বিছানা ছেড়ে উঠতো, আমাদের বাড়ির উঠোনে পাতা তান্দুরি চুলার সামনে নিচু টুলের ওপর বসে সে একের পর এক রুটি বানিয়ে তান্দুরি চুলার গায়ে সেটে দিতো। রুটিটা ফুলে ফেপে উঠার পর সেটাকে সোনালী রংয়ের তরল মাখনে চুবিয়ে উঠাতো। একুশ বছর জুড়ে প্রতিটা সকালে তান্দুরি রুটি বানানোর সেই মধুর ছন্দের সাথে ভেড়ার মাখনের মদির ঘ্রাণে আমার ঘুম ভেঙ্গেছে। আর আমাকে মায়ের বুকের নিরাপদ আশ্রয়ে আশ্বস্ত করেছে। কখনো কখনো ঘুম জড়ানো চোখে মায়ের কোল ঘেষে বসেছি। শীতের সকালে ঠান্ডায় জমে যাওয়া দুহাতের তালু তান্দুরি চুলার গায়ে চেপে চেপে ধরে উষ্ণ করার সময় মায়ের সাথে গল্পে বিভোর হয়েছি। এমন কোন বিষয় ছিল না যা, মার সাথে আলাপের সময় বাদ পড়তো— যেমন স্কুল, স্কুলের বন্ধুরা, বিবাহ অনুষ্ঠান অথবা ভাইবোনরা। বহু বছর যাবৎ আমার অন্ধ বিশ্বাস ছিল যে, সাপ আমাদের টিনের চালে ডিম পেড়ে তা দিচ্ছে বাচ্চা ফুটবার জন্য। আমি সাপদের শব্দ শুনেছি। আমি মাকে হিসহিস শব্দ করার জন্য কাকুতি মিনতি করতাম। আমার কথা শুনে মা কোন উত্তর দিত না। তার সর্বকনিষ্ট সন্তানের মুখের ওপর চোখ দুটো আটকে রেখে শুধু ঠোঁট চেপে হাসতো। ‘নাদিয়া সাপের ভয়ে একা গোসল পর্যন্ত করতে যায় না’—এসব বলে আমার সহদোর ভাই ও বোনেরা হাসি ঠাট্টা করতো। তবে একদিন যখন সত্যিই একখানা সাপের বাচ্চা আমার মাথার ওপরে গড়িয়ে পড়লো তখন তড়িঘড়ি করে আমাদের গোসলখানা মেরামত করা হলো। আমার ভাইবোনেরা সঠিক ব্যাপারটা ধরতে পেরেছিল— আমি সত্যিকার অর্থেই কখনো একা হতে চাইনি।

 

টাটকা রুটি থেকে পোড়া অংশ খুটে খুটে তোলার সময় মাকে নিয়ে  আমার ভবিষ্যত পরিকল্পনা জানাতাম।  সেলুনে কাজ করার পরিকল্পনা ত্যাগ করে বাড়িতে সেলুন ব্যবসা চালু করার পরিকল্পনা মাকে জানাই।  কোচোর বাইরের শহরগুলোতে যে সব খোল এবং আই স্যাডো জনপ্রিয় সে সব কেনার মতো সক্ষমতা তখন আমাদের পরিবারে এসেছে। সেসব দিয়ে আমিও তখন মেকআপ করতে শিখেছি। মাধ্যমিক স্কুলে ইতিহাস বিষয়ে শিক্ষকতার চাকুরি নিয়েছিলাম। কাজের শেষে সারাদিন পর যখন বাড়ি ফিরে আসতাম মায়ের চোখে মুখে ফুটে উঠতো সম্মতি আর অহংকার।  গরম রুটি কাপড়ের ভেতর জড়াতে জড়াতে মা যখন বলতো—”আমাকে কখনো ছেড়ে যাসনে নাদিয়া”। আমিও সাথে সাথে উত্তর দিতাম—নিশ্চয় না, কখনো না, আমি কখনো তোমাকে ছেড়ে কোথাও যাব না।”

 

(চলবে)

করোনা ভাইরাসের কারণে বদলে গেছে আমাদের জীবন। আনন্দ-বেদনায়, সংকটে, উৎকণ্ঠায় কাটছে সময়। আপনার সময় কাটছে কিভাবে? লিখে পাঠাতে পারেন আমাদের। এছাড়া যেকোনো সংবাদ বা অভিযোগ লিখে পাঠান এই ইমেইলেঃ [email protected]