সোনালী জুমে হাঁসছে পাহাড়
দৈনিক খাগড়াছড়ি
প্রকাশিত: ১১ অক্টোবর ২০২১
ছবি- নিজস্ব প্রতিবেদক।
জুমধানের বাম্পার ফলনে সবুজ পাহাড়ে চাষীদের মনে লেগেছে আনন্দের জোয়ার। তাইতো জুমের ফসল তোলায় ব্যস্ত এখন পাহাড়ী জুমিয়ারা। কিছু ফসল সারা বছর উত্তোলন হলেও জুম ধান তোলার এখনই মৌসুম।
বিগত কয়েক বছরের তুলনায় এবার জুমধান ফলন হয়েছে বেশ। পাকা সোনালী জুম ধানের এখন হাঁসছে সবুজ পাহাড়। ফলন ভালো হওয়ার লাভের আশা করছে চাষীরা। তবে সময়ের পালা বদলে কমছে মাটির উর্বরতাও। ফলে এখন জুমে ব্যবহার বাড়ছে সারের। তাই দিনে দিনে পাহাড়ের জুম চাষ কমে যাচ্ছে।
সবুজে ঘেরা পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ী জনগোষ্ঠির ঐতিহ্যবাহী ‘জুমচাষ’ চাষবাষ পদ্ধতি এখনো প্রচলিত থাকলেও সময়ের সাথে তা বদলাতে শুরু করেছে। যদিও পাহাড়ের প্রান্তিক জনগোষ্ঠির জুমিয়ারা ঐতিহ্যগতভাবে জুমচাষে নির্ভর করে জীবনধারন করে। জীবনের তাগিদে জুমচাষীরা পাহাড়ে ধান, ভূট্টা, কাকন, মারফাসহ বিচিত্র রকমের ফসল করেছেন। বর্তমান সময়ে জুমে ধান পাকায় তা কাটা চলছে। বৃষ্টি ও আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় ভালো ফলনে পাহাড়ি পল্লিগুলোতে এখন ধান কাটা ও ঘরে তোলায় ব্যস্ত হয়ে উঠেছে চাষীরা।
আলুটিলা এলাকার জুমচাষী হীরা দেবী বলেন, আমরা জুম চাষের উপর নির্ভরশীল। সারা বছর কষ্টের পর এখন ঘরে ফলন তোলার সময়। গত বছরের তুলনায় এবছর ফলন ভালো হয়েছে। তবে আগে মাটির উর্বরতার কারণে সার ব্যবহার করতে না হলেও এখন জুমে সার দিতে হয়।
আধুনিক পদ্ধতিতে জুম চাষের কারণে এমন ফলন পাচ্ছে কৃষক। কারণ দিনে দিনে পাহাড়ের মাটি ক্ষয় ও উর্বরতা কমে যাওয়ার কারণে জুম পাহাড়ে বাড়ছে সারের ব্যবহার। আগে এক পাহাড়ে দীর্ঘ বছর পরপর জুম চাষ হলেও ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা বৃদ্ধি এবং জুম পাহাড়ের সংখ্যা কমে যাওয়ায় এখন একই পাহাড়ে প্রতি বছর জুম চাষ করা হচ্ছে।
তবে জুম চাষের আধুনিক পদ্ধতি পাল্টে দিয়েছে চাষাবাদের ধরন। এই পদ্ধতিতে পরিমিত সার ব্যবহার করে প্রতি বছর একি জমিতে বার বার ফসল উৎপাদন করতে সম্ভব বলে তিনি জানান।
জুম চাষী নব জ্যোতি ত্রিপুরা বলেন ‘এমন একটা সময় ছিল যখন এক পাহাড়ে জুম চাষ করার পর অন্য পাহাড়ে জুম চাষ করা হতো। কিন্তু এখন মানুষ বাড়ছে, বাড়ছে বসতি। তাই জুমের জায়গা কমে আসছে। এখন একই স্থানে প্রতি বছর জুম চাষ করতে হচ্ছে।
অন্যদিকে বৈজ্ঞানিক উপায়ে স্থায়িত্বশীল এবং অধিক উৎপাদনশীল জুমচাষের উপায় বের করার গবেষনা করছে বাংলাদেশ কৃষি ফাউন্ডেশন। এই গবেষনায় মূলত: সার-কিটনাশকের পরিমিত ব্যবহারের মাধ্যমে একই জমিতে প্রতিবছর জুমচাষের সম্ভাব্যতা খতিয়ে দেখা হয়। গত চার বছর ধরে চলা গবেষনায় বৈজ্ঞানিক ও কৃষিবিদরা খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানে সফলতার মুখ দেখেছেন। উদ্বুদ্ধ জুম কৃষকরাও।
এ বছর জেলায় ১হাজার ৯শ ১০ হেক্টর জমিতে জুম চাষ হয়েছে। যেখান থেকে ২হাজার ৯শ ৮৬ মেট্রিক টন উৎপাদন লক্ষ্য মাত্রা ধরা হয়েছে।
খাগড়াছড়ি কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক মর্তুজ আলী জানান, মূলত স্থানীয় জাত থেকে জুমের উৎপাদন হয়ে থাকে। তবে বাংলাদেশ পারমানবিক ইনিস্টিটিউট বিনা ধান-১৯ এবং বিনা ধান-২১ উদ্ভানব করেছে। যেটি কিনা স্থানীয় জাতের তুলনায় ভালো ফলন দিচ্ছে। এছাড়াও বিরি ধান-৮৩ এবং চায়না। এখানেও স্থানীয় জাতের তুলনায় ভালো ফলন হচ্ছে।
খাগড়াছড়ি কৃষি গবেষনা ইনিস্টিটিউটের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মুন্সী রশিদ আহম্মেদ বলেন, স্থানীয় জাতের তুলনায় আধুনিক জাতগুলো প্রায় দেড়গুণ বেশি উৎপাদন হচ্ছে। নতুন জাতগুলোর বীজ যদি জুম চাষীদের মধ্যে পর্যাপ্ত পরিমানে ছড়িয়ে দিতে পারি তাহলে স্থানীয় জাতের বাইরে উচ্চ ফলনশীল জাত ব্যবহার করে অধিক লাভের মুখ দেখবে। তাদের আর্থিক অবস্থার উন্নতি ঘটবে।
আগামীতে গবেষনা জ্ঞান মাঠ পর্যায়ে ছড়িয়ে দিতে পারলে পাহাড়ের জুম চাষে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে এবং জুমিয়াদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার পরিবর্তনে ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন কৃষিবিদ ও কৃষি বিজ্ঞানীরা।
করোনা ভাইরাসের কারণে বদলে গেছে আমাদের জীবন। আনন্দ-বেদনায়, সংকটে, উৎকণ্ঠায় কাটছে সময়। আপনার সময় কাটছে কিভাবে? লিখে পাঠাতে পারেন আমাদের। এছাড়া যেকোনো সংবাদ বা অভিযোগ লিখে পাঠান এই ইমেইলেঃ [email protected]
- ডিজিটাল জরিপকালে জমির মালিকদের জানাতে হবে- ভূমিমন্ত্রী
- সেই দুই ইউপি চেয়ারম্যান পদে থেকেই উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন
- বিমানবন্দর-গাজীপুর বিআরটি করিডোরের জন্য কেনা হচ্ছে ১৩৭টি এসি বাস
- ঢাকার পয়ঃবর্জ্য ও গ্যাস লাইন পরীক্ষায় কমিটি গঠনের নির্দেশ
- আমানতের মুনাফার ওপর কর দিতে হবে না
- বেনজীরের দুর্নীতি: দুই মাসের মধ্যে অগ্রগতি প্রতিবেদন চান হাইকোর্ট
- ৯ মাসে রাজস্ব আয়ে ১৫.২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন
- সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস কাতারের আমিরের
- কাতারের সঙ্গে ১০ চুক্তি-সমঝোতা সই
- পুড়ছে সড়ক, তবু অবিরাম কাজ তাদের
- জাহাজেই দেশে ফিরবেন এমভি আবদুল্লাহর ২৩ নাবিক
- ব্যাংক ডাকাতি রোধে যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে
- প্রধানমন্ত্রী জাতীয় সংসদের সব উন্নয়নের পৃষ্ঠপোষক: স্পিকার
- ঢাকা ছাড়লেন কাতারের আমির, গেলেন নেপাল
- আজ ব্যাংককের উদ্দেশে রওনা দেবেন প্রধানমন্ত্রী
- কাতারের আমিরকে আরও কর্মী নেয়ার আহ্বান রাষ্ট্রপতির
- বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগ চাইলেন রাষ্ট্রপতি
- খাগড়াছড়িতে ক্রিকেট লীগ ও ভলিবলের ফাইনাল অনুষ্ঠিত
- পানছড়ি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কাকে ভোট দিবে আওয়ামী লীগ?
- খাগড়াছড়িতে ৩ উপজেলার ৬ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল
- প্রথম ধাপের চার উপজেলার প্রার্থীরা পেলেন প্রতীক
- দীঘিনালা জোন কর্তৃক বিনামূল্যে স্বাস্থ্য সেবা ক্যাম্প পরিচালনা
- মুক্তিযুদ্ধ ও মুজিবনগর সরকার নিয়ে গবেষণার আহ্বান
- গ্যাস খাতে বড় সংস্কার করবে পেট্রোবাংলা
- বাংলাদেশ থেকে দক্ষ জনশক্তি নিতে চায় কিরগিজস্তান
- নোয়াখালীর নতুন গ্যাস কূপে খনন কাজ শুরু
- বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর ৪.৮ কিমি এখন দৃশ্যমান
- ঢাকায় কাতারের আমির: অগ্রাধিকার পাচ্ছে বাণিজ্য,বিনিয়োগ ও ভূরাজনীতি
- সাবেক আইজিপি বেনজীরের সম্পদ অনুসন্ধানে দুদক
- দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদন
- ২৩ বিজিবি ব্যাটালিয়নের ৪৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
- বিলুপ্তির পথে পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন প্রজাতির বন্যপ্রাণী
- লক্ষ্মীছড়িতে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন চার প্রার্থী
- খাগড়াছড়িতে ক্রিকেট লীগ ও ভলিবলের ফাইনাল অনুষ্ঠিত
- দীঘিনালা জোন কর্তৃক বিনামূল্যে স্বাস্থ্য সেবা ক্যাম্প পরিচালনা
- চার বছরেও শেষ হয়নি দীঘিনালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নির্মান
- লক্ষ্মীছড়িতে অসহায়দের মাঝে সেনাবাহিনীর মানবিক সহায়তা প্রদান
- পুড়ছে সড়ক, তবু অবিরাম কাজ তাদের
- বান্দরবানে সেনা অভিযানে কেএনএফ সদস্য নিহত
- পানছড়ি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কাকে ভোট দিবে আওয়ামী লীগ?
- খাগড়াছড়িতে নাগরিক পরিষদের দায়িত্বে লোকমান-মাসুম
- নতুন করে ৩ দিনের হিট অ্যালার্ট জারি
- রেলস্টেশনে বসেছে ভেন্ডিং মেশিন, যাত্রীরাই কাটবে নিজের টিকিট
- কাতারের সাথে ৬ চুক্তি, ৫ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের সম্ভাবনা
- রাজধানীর জনবহুল পয়েন্টে ৬ ঘণ্টা খাবার পানি সরবরাহ করবে ঢাকা ওয়াসা
- ঢাকা উত্তরের বাসাবাড়িতে মশার লার্ভা পেলে জেল-জরিমানা
- বাংলাদেশে আরো বেশি বিনিয়োগে আগ্রহী চীন
- খাগড়াছড়িতে তিন উপজেলায় মনোনয়ন জমা দিলেন ৩৬ প্রার্থী
- মুক্তিযুদ্ধ ও মুজিবনগর সরকার নিয়ে গবেষণার আহ্বান
- দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদন