শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||
চৈত্র ১৪ ১৪৩০
|| ১৮ রমজান ১৪৪৫
দৈনিক খাগড়াছড়ি
প্রকাশিত: ১৫ জুলাই ২০২১
ছবি- সংগৃহীত।
খাগড়াছড়ির দুই উপজেলায় সাড়ে ৭ হাজার বিদ্যুৎ গ্রাহক এখন চরম দুর্ভোগে। তিন দশক আগের জনবল অবকাঠামোতেই এখনো চলছে মানিকছড়ি বিদ্যুৎ বিভাগ। মাত্র ৪০ শতাংশ জনবলে বিদ্যুৎসেবা দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে বিদ্যুৎ বিভাগ। মানিকছড়ি-লক্ষ্মীছড়ি উপজেলার দুটি বিদ্যুৎ সাব সেন্টারে বর্তমানে গ্রাহক সাড়ে ৭ হাজার। আর এই গ্রাহকদের সেবা দেওয়ার জন্য যে জনবল তা এখনো আগের মতোই রয়েছে।
বর্তমানে দুই উপজেলার সাব সেন্টারে জনবল পদায়ন আবাসিক প্রকৌশলী একজন, উপসহকারী প্রকৌশলী একজন, লাইনম্যান তিনজনের স্থলে কর্মরত দুজন, এমএলএসএস কাম গার্ড চারজনের মধ্যে কর্মরত একজন, মিটার রিডার রয়েছেন একজন। মোট জনবল ১২ জনের স্থলে কর্মরত আছেন মাত্র পাঁচজন। সাত শূন্য পদ নিয়ে সাড়ে ৭ হাজার বিদ্যুৎ গ্রাহককে সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে বিদ্যুৎ বিভাগ। ফলে প্রতিনিয়ত এখানকার গ্রাহকদের হাজার হাজার ইউনিটের ভুয়া বিল পরিশোধ করতে হচ্ছে।
সাড়ে ৭ হাজার গ্রাহকের জন্য মাত্র একজন মিটার রিডার থাকায় গ্রাহকেরা ভুতুড়ে বিলের শিকার হচ্ছেন। বিষয়টির সদুত্তর মিলছে না কোথাও। আবাসিক, অনাবাসিক ও ব্যবসায়ীরা দিন দিন বিদ্যুৎ বিভাগের প্রতি আস্থা হারাচ্ছেন।
এ বিষয়ে বাজার ব্যবসায়ী পরিচালনা কমিটির সহসভাপতি রুপেন পাল বলেন, এখানকার বিদ্যুৎ গ্রাহকেরা ভুতুড়ে বিলের শিকার। প্রায় চার দশক এখানে ব্যবসা-বাণিজ্য করছি, কিন্তু এখনকার মতো ভোগান্তিতে কখনো পড়তে হয়নি। কম-বেশি প্রতিটি ব্যবসায়ীকে প্রতি মাসে ব্যবহারের বেশি রিডিং বিল পরিশোধ করতে হচ্ছে।
আবাসিক প্রকৌশলী মো. জিয়া উদ্দীন বলেন, প্রায় ৬০ শতাংশ কম জনবলে দুই উপজেলার চাহিদানুযায়ী সেবা দিতে গিয়ে গ্রাহকের জন্য তা কিছুটা ভোগান্তি হয়।
হাটহাজারী থেকে মানিকছড়ি পর্যন্ত পাহাড়ি অঞ্চলে ঝড়-বৃষ্টিতে প্রায় সময়ই লাইনে গাছ-বাঁশ পড়ে বিদ্যুৎবিভ্রাট ঘটে। ফলে এই দীর্ঘ লাইন সচল করতে অনেক সময় লেগে যায়। এ ছাড়া একজন মিটার রিডার দিয়ে সাড়ে ৭ হাজার বিদ্যুৎ মিটার নিয়মিত রিডিং সংগ্রহ করা কষ্টকর। জনবলসংকটের বিষয়টি অনেক আগেই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। নতুন পদ সৃষ্টি এবং শূন্য পদে জনবল এলে এই সংকট থেকে পুরোপুরি পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব।
করোনা ভাইরাসের কারণে বদলে গেছে আমাদের জীবন। আনন্দ-বেদনায়, সংকটে, উৎকণ্ঠায় কাটছে সময়। আপনার সময় কাটছে কিভাবে? লিখে পাঠাতে পারেন আমাদের। এছাড়া যেকোনো সংবাদ বা অভিযোগ লিখে পাঠান এই ইমেইলেঃ [email protected]
দৈনিক খাগড়াছড়ি Dainik Khagrachari
সর্বশেষ
জনপ্রিয়