এখনো দ্যুতি ছড়াচ্ছে ১৪৪ বছরের পুরনো খাগড়াছড়ি মসজিদ
দৈনিক খাগড়াছড়ি
প্রকাশিত: ৩ মে ২০২১
ছবি- সংগৃহিত।
বাংলাদেশের যে স্থাপনাশৈলী এখনও বিমোহিত করে চলেছে অগণিত মানুষকে, তার মধ্যে আছে দেশজুড়ে থাকা অগণিত নয়নাভিরাম মসজিদ। দেশে মুসলিম স্থাপত্যের অনন্য নিদর্শন খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার কেন্দ্রীয় শাহী জামে মসজিদ। ১৪৪ বছর আগের ব্রিটিশ শাসনামলে তৈরি মসজিদটিতে নামাজ পড়তে জেলা শহরসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে আসেন মুসুল্লিরা। খাগড়াছড়িতে আসা পর্যটকরাও এ মসজিদ না দেখে যান না।
গোলাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের প্রথম চেয়ারম্যান জাফর উল্ল্যাহ বলেন, তিনি তার দাদার কাছে শুনেছেন, মসজিদটি প্রতিষ্ঠার সময় খাগড়াছড়ি ছোট একটি বাজার ছিল। তখন খাগড়াছড়ি ছিল রামগড় মহাকুমার নিয়ন্ত্রণাধীন একটি গ্রাম। যে গ্রামের বাজারে মুসলিম ব্যবসায়ীদের প্রতিষ্ঠান ছিল। তাদের আদিনিবাস ছিল চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া ও রাউজান এলাকা। তারা রাঙামাটি, মহালছড়ি হয়ে চেঙ্গীর নদী দিয়ে নৌকা নিয়ে খাগড়াছড়ি আসতেন এবং বাণিজ্য করতেন। ওই ব্যবসায়ীদের একজন ছিলেন আমছু মিয়া বলি, আরেকজন লাল মিয়া। দু’জনের নেতৃত্বে আরও অনেকের সহযোগিতায় খাগড়াছড়ি জেলার চেংগী নদীর পাড়ে কাঠ ও শন দিয়ে বানানো হয় মসজিদটি। পরে টিনশেড ঘর থেকে বিল্ডিং ও এখন তিনতলা হয়েছে মসজিদটি। এখন মসজিদটির আয়তন প্রায় দশ হাজার বর্গফুট। টিনশেড বিল্ডিং থাকা অবস্থায় মসজিদটি বেশ কয়েকবার সংস্কার হয়।
এখন মসজিদটির তত্ত্বাবধানে আছেন গুরা মিয়া সওদাগর, বাদশা মিয়া সওদাগর, মকবুল আহমেদ পন্ডিত, ওবায়দুল হক, আহমেদুর রহমান ও আরও অনেকে।
শুরুর দিকে ৩০-৪০ জন নিয়ে জামাত হতো। এখন খাগড়াছবি জামে মসজিদটিতে একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারেন প্রায় পাঁচ হাজার মুসুল্লি।
মসজিদটির কারুকাজ দেখে কারও ধারণা এটি ইরানের মসজিদগুলোর আদলে বানানো। এর বাইরের দিকের আয়তন উত্তর-দক্ষিণে ৯৫ ফুট এবং পূর্ব-পশ্চিমে ১০০ ফুট। নামাজ কক্ষটি বর্গাকার। মিনারে রয়েছে সুদৃশ্য কারুকাজ।
মোট তিনটি গম্বুজ আছে। ভেতরে আছে বেশ কয়েকটি ঝাড়বাতি ও দেয়ালে মনোমুগ্ধকর নকশা।
এ মসজিদে ইটের সঙ্গে পাথরের ব্যবহারও করা হয়েছে। দেয়ালের মাঝে পাথরের স্তম্ভ, ইটের গাঁথুনি চোখে পড়ার মতো। পূর্ব-দক্ষিণে আছে ওজুখানা ও শৌচাগার।
এখানে নামাজ পড়তে আসা মোহাম্মদ আবদুল্লাহ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘খাগড়াছড়ি কেন্দ্রীয় শাহী জামে মসজিদ একটি দর্শনীয় স্থান। সুউচ্চ এ মিনার দূর থেকে দেখলেই চেনা পথিক বুঝতে পারবেন যে তিনি খাগড়াছড়ি শহরে চলে এসেছেন। মসজিদটি মুসলিমদের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের অংশ। এখানে নামাজ আদায় করতে পেরে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে হচ্ছে। জায়গাটিও নয়নাভিরাম। এখানে এলেই মন ভালো হয়ে যায়।’
মসজিদ কমিটির সভাপতি ও খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. জাহেদুল আলম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমি বেশ কয়েক বছর ধরে মসজিদটির দায়িত্বে আছি। আগে আমার পূর্বপুরুষরা এর দায়িত্বে ছিলেন। এই মসজিদের পেছনে অনেক ইতিহাস। আগামী প্রজন্মের জন্য মসজিদটি সংরক্ষণ করে রাখতে হবে। তবে এর কিছু সংস্কার এখনও বাকি। ২০২০ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড প্রায় ৫০ লাখ টাকা খরচ করে শীতাতপ যন্ত্র বসিয়েছে। এতে মুসুল্লিদের বেশ সুবিধা হয়েছে। একই সংস্থা মসজিদের জন্য আধুনিক ওজুখানা ও দেয়াল নির্মাণে আরও ৬০ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। ২০২২ সাল নাগাদ এ কাজ সমাপ্ত হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।’
মসজিদের খতিব আবদুন নবী হক্কানী ও পেশ ইমাম মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা পর্যটকরা এখানে নামাজ আদায় করার পাশাপাশি ছবিও তুলে রাখেন। মসজিদটি জেলার সবচেয়ে পুরনো বলে ধারণা অনেকের।
মসজিদের আয়
এ মসজিদের নামীয় সম্পত্তিতে ২৮টি দোকান-প্লট আছে। যা হতে বছরে প্রায় ১৫ লাখ টাকা আয় হয়। এ ছাড়া জুমার দিনের দান হতে বছরে আয় হয় ৬/৭ লাখ টাকা। দুই একর কৃষি জমি হতে আয় হয় ৩৫-৪০ হাজার টাকা। এ ছাড়া খাগড়াছড়ি বাজারে মসজিদের একটি পুকুর আছে। যেখানে মাছ চাষ হয়। পাশাপাশি সরকারি ও ব্যক্তিগত অনুদানও আছে।
করোনা ভাইরাসের কারণে বদলে গেছে আমাদের জীবন। আনন্দ-বেদনায়, সংকটে, উৎকণ্ঠায় কাটছে সময়। আপনার সময় কাটছে কিভাবে? লিখে পাঠাতে পারেন আমাদের। এছাড়া যেকোনো সংবাদ বা অভিযোগ লিখে পাঠান এই ইমেইলেঃ [email protected]
- চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় জ্বালানি তেল যাবে পাইপ লাইনে
- সোমবার আসছেন কাতারের আমির
- ক্যাশলেস পদ্ধতিতে যাচ্ছে এনবিআর
- বঙ্গবন্ধু টানেলে পুলিশ-নৌবাহিনী-ফায়ার সার্ভিসের টোল মওকুফ
- সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীতে আসছেন আরও ৪ লাখ মানুষ
- ৫০ বছরে দেশের সাফল্য চোখে পড়ার মতো
- জাত, দাম উৎপাদনের তারিখ লিখতেই হবে চালের বস্তায়
- প্রাণী ও মৎস্যসম্পদ উন্নয়নে বেসরকারি খাত এগিয়ে আসুক
- উপজেলা নির্বাচনে সিলেট বিএনপির ৬ নেতা
- উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপি’র আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ
- সয়াবিন তেলের দাম পুনর্নির্ধারণ করলো সরকার
- সার্ককে পুনরুজ্জীবিত করার আহ্বান বাংলাদেশ-নেপালের
- ভারতে ভোট শুরু আজ
- বাংলাদেশে গ্রিসের দূতাবাস চালু হতে যাচ্ছে- পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- ঢাকায় ভিসা কেন্দ্র খুলল চীন
- সামরিক ও ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থার সম্পর্ক নিয়ে সেমিনার
- মাছ-ডাল-ভাতের অভাব নেই, মানুষের চাহিদা এখন মাংস-প্রধানমন্ত্রী
- ২৬১ বিজিপিকে শিগগিরই মিয়ানমারে পাঠানো হবে: বিজিবি ডিজি
- গুইমারায় প্রাক্তন ছাত্র পরিষদের ঈদ পূনর্মিলনী অনুষ্ঠিত
- খাগড়াছড়িতে ৫ দিনব্যাপী প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহের উদ্বোধন
- রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলামের দাফন সম্পন্ন
- ফের আশা জাগাচ্ছে লালদিয়া চরের কনটেইনার টার্মিনাল
- মাঠ প্রশাসন সামলাতে হার্ডলাইনে সরকার
- ‘মাই লকারে’ স্মার্টযাত্রা
- এক সফটওয়্যারের আওতায় আসছেন সব সরকারি চাকরিজীবী
- জলবিদ্যুৎসহ নেপালের বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের আহ্বান
- সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি: আট বিভাগে হচ্ছে মেলা
- শঙ্কা কেটে গিয়ে কৃষকদের মুখজুড়ে এখন স্বর্ণালি হাসি
- পর্যটন শিল্পের বিকাশ: কুয়াকাটায় বিমানবন্দর নির্মাণের উদ্যোগ
- মুজিবনগর দিবসে সব অপশক্তিকে প্রতিহত করার অঙ্গীকার
- বিভেদ মেটাতে মাঠে আওয়ামী লীগ
- গুইমারায় প্রাক্তন ছাত্র পরিষদের ঈদ পূনর্মিলনী অনুষ্ঠিত
- খাগড়াছড়িতে আ.লীগ নেতার বাড়িতে সন্ত্রাসী হামলা
- বৃক্ষের প্রতি মানবপ্রেম জাগ্রত হোক
- মেট্রোরেল চলাচলে আসতে পারে নতুন সূচি
- অনিবন্ধিত ও অবৈধ নিউজ পোর্টাল বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে
- যত্রতত্র পার্কিং আর ফুটপাত দখলে সংকীর্ণ হচ্ছে খাগড়াছড়ির সড়ক
- উপজেলা নির্বাচনে সিলেট বিএনপির ৬ নেতা
- চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় জ্বালানি তেল যাবে পাইপ লাইনে
- এক সফটওয়্যারের আওতায় আসছেন সব সরকারি চাকরিজীবী
- মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
- দীঘিনালায় যাত্রীর কাছ থেকে বেশী ভাড়া নেয়ায় জরিমানা
- খাগড়াছড়িতে ৪০জনের মনোনয়নপত্র বৈধ, একজনের বাতিল
- খাগড়াছড়িতে মাসব্যাপী ঈদ আনন্দ ও বৈশাখী মেলা শুরু
- বিমানের জরুরি অবতরণ: বেঁচে গেলেন শতাধিক যাত্রী
- রুমায় অস্ত্রসহ ৯ কেএনএফ সদস্য গ্রেফতার
- সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি: আট বিভাগে হচ্ছে মেলা
- উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ মন্ত্রী-এমপিদের
- এখনও আলোচনার পথ বন্ধ হয়নি, কেএনএফ প্রসঙ্গে র্যাবপ্রধান
- মাটিরাঙ্গায় অসহায়দের মাঝে বিজিবির অনুদান প্রধান