বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||
চৈত্র ১৪ ১৪৩০
|| ১৭ রমজান ১৪৪৫
দৈনিক খাগড়াছড়ি
প্রকাশিত: ১ মে ২০২১
ছবি- সংগৃহিত।
খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলায় জনপ্রিয় হয়ে উঠছে কলার চাষ। আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ায় বাড়ির পাশে পতিত জমিতে, পুকুর পারে পাহাড়ের বাঁকে বাঁকে তুলেছেন কলার চাষ, আগ্রহও বাড়ছে ছোট-বড় চাষীদের মাঝে।
উপজেলায় স্বাবলম্বী ও হচ্ছেন অনেকেই। উপজেলার একাধিক কলা চাষী বলেন, কলা চাষ করে অন্যানো ফসলের চেয়ে বেশি লাভবান হওয়া যায়। কলা চাষে প্রথম অবস্থায় সাথী ফসল হিসাবে মসলা জাতীয় ফসল, সকল ধরনের সবজি, ধানসহ অনান্য ফসল চাষ করা যায়।
চারা রোপনের অল্প দিনের মধ্যেই বেড়ে উঠে এবং দ্রুত ফল পাওয়া যায়, তবে বৈশাখ(মার্চ) মাসে থেকে আষাঢ়(মে) মাসে এ চারা রোপনের উপযুক্ত সময়।যে জমিতে পানি জমে থাকে না সে জমিতে কলা চাষ ভাল হয়।
বিঘাপ্রতি কলা চাষের জন্য জাত ভেদে ২৫০ থেকে ৩০০ চারা রোপন করা যায়। একটি কলা গাছ থেকে বছরে একটি কলা ছড়ি পাওয়া যায় , যার বাজার মূল্য ৪০০ থেকে ২০০০ হাজার টাকা। বিঘাপ্রতি ১৫ থেকে ২৫ হাজার টাকা খরচ হলেও দাম পাওয়া যায় বিঘাপ্রতি প্রায় লক্ষ টাকা। একবার চারা রোপন করলে ৩ থেকে ৪ বছর ভাল ফলন পাওয়া যায়। যা থেকে অন্য কোন ফসলে সম্ভব হয় না।
এখানকার কলা ভাল মান হওয়ায় শহরে ব্যাপক চাহিদা পাহাড়ের কলার প্রতি। শহরের পাইকারি’রা এসে এখান থেকে ট্রাক বোঝাই করবে নিয়ে চলেন কলা।
সূত্রে জানা যায়, সাগর কলা, চাম্পা কলা, বাংলা কলাসহ আরো ভিন্ন জাতের কলা চাষ করা হয়ে থাকে। এসব গাছের কলার চারা অল্প সময়ে খুব দ্রুত বেড়ে উঠে। এসময় উপজেলার ১ নং মেরুং ইউনিয়নের ৪ নং ওর্য়াডের মো: আলমগীর হোসেন বলেন, যে আমি গতবছর মে মাসের দিকে আমার বাড়ির পাশেই পাহাড়ের চুড়ায় ৪০ শতাংশ জমিতে ১৫০ টি সাগর কলা চারা রোপন করেছি, বর্তমানে আমার বাগানে ৬০ টি কলার চারায় কলা বাহির হয়েছে যা বাজার করলে ৫শত থেকে ১২শত টাকা করে বিক্রিয় করা যাবে একটি কলা ছড়ি।
তবে জায়গা সংকলন হওয়ায় বেশি আকারে চারা রোপন করতে পারছি না। অতিরিক্ত কলার চারা বিক্রিয় করছি ৫০টাকা থেকে ৭০ টাকা করে বিক্রিয় করছি।এসময় তিনি বলেন সরকারি কোন সহযোগিতা না থাকায় আমরা সফল হতে পারছি না।
মৌসুমি সময়ে চারা গাছের গোড়ায় সার দিতে হয় এবং শীত মৌসুমে পানি না দিতে পারলে গাছ মরে যায়। যা খরচ বহন করা ব্যায় বহুল! তবে চারা রোপনের পর চাহিদা অনুযায়ী স্যার, ওষুধ এবং প্রয়োজনীয় গাছের বৃদ্ধিতে শক্তি যোগান দিতে পারলে ভাল ফলন পাওয়া যাবে।
দীঘিনালা উপজেলার উদালবাগানের চাষী সুসময় চাকমা জানান আমাদের অঞ্চলে কলার ভালো ফলন হয়। এখানকার স্থানীয় চাষি ও কৃষকরা পাশের পতিত জমি ও পুকুর পাড়ে কলা আবাদ করে কোন ধরনের লোকসান না হওয়ায় দিনদিন আগ্রহ বেড়ে চলছে।
এখানকার প্রতি ছড়ি কলা প্রকারভেদে সাগর কলা ৪০০ থেকে ২০০০ টাকা, সবজি কলা (আনাজ) ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা, চাম্পা কলা ১৭০ থেকে ২২০ টাকায় বিক্রি করা যায়। এ অঞ্চলের কলা দেশের বিভিন্নস্থানে নিয়ে বিক্রি হয়। বিভিন্ন স্থানীয় বাজারে স্বল্প পরিসরে হলেও কলার হাট বসে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ওংমকার বিশ্বাস জানান কলায় লাভবান হওয়ায় চাষি ও কৃষকদের কলা চাষের দিকে আগ্রহ বেড়েই চলছে। তেমন কোন ঝামেলা না থাকায় স্থানীয়রা এই ফসল চাষ করছে। উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকেও কলা চাষিদের নানা ধরনের পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে যাতে করে চাষি ও কৃষকরা লাভবান হতে পারেন।
করোনা ভাইরাসের কারণে বদলে গেছে আমাদের জীবন। আনন্দ-বেদনায়, সংকটে, উৎকণ্ঠায় কাটছে সময়। আপনার সময় কাটছে কিভাবে? লিখে পাঠাতে পারেন আমাদের। এছাড়া যেকোনো সংবাদ বা অভিযোগ লিখে পাঠান এই ইমেইলেঃ [email protected]
দৈনিক খাগড়াছড়ি Dainik Khagrachari
সর্বশেষ
জনপ্রিয়