খাগড়াছড়িতে জমি চাষ করতে গিয়ে ইউপিডিএফের সন্ত্রাসী হামলায় আহত ১২

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার মাটিরাঙ্গায় নিজ ভূমিতে কচুসহ সবজি চাষাবাদ করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন বাঙ্গালী কৃষকরা। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গার তাইন্দং-তবলছড়িতে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। গত ৪ এপ্রিল রবিবার সকাল থেকে মাটিরাঙ্গা উপজেলাধীন তবলছড়ির শুকনাছড়ি, ইসলামপুর, লাইসাপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।   

এ ঘটনার রেশ ধরে ইউপিডিএফ (প্রসীত) সন্ত্রাসীদের বাঙ্গালীদের বেধড়ক মারধর ও ব্যাপক গুলিবর্ষণে মনির হোসেনসহ আহত হয়েছে ১৫/২০জনের অধিক বাঙ্গালী। এছাড়াও অসংখ্য বাঙ্গালীদের জিম্মি করে রাখার অভিযোগ করেছে স্থানীয়রা। এ ঘটনায় এলাকায় চরম ক্ষোভ ও আতঙ্ক বিরাজ করছে। আহতদের নেওয়া হয়েছে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে। অনেকে আবার প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে ফিরেছেন বাড়ীতে। 

এলাকাবাসীর অভিযোগ, মাটিরাঙ্গা উপজেলাধীন তাইন্দং-তবলছড়ির শুকনাছড়ি, ইসলামপুর, লাইসাপাড়া এলাকায় নিজেদের ভূমিতে চাষাবাদ করতে গেলে তাতে বাঁধা দেয় উপজাতি সন্ত্রাসীরা। এতে বাঙ্গালীদের সাথে তাদের বাক-বিতন্ডতার এক পর্যায়ে চড়াও হয় সন্ত্রাসীরা। এ সময় বাঙ্গালীদের জিম্মি করে রাখা হয় সেখানে। এক পর্যায়ে পরিবারের সদস্যদের ফিরিয়ে আনতে গেলে তাদের উপর আরো চড়াও হয়ে বেপোরোয়া হয়ে উঠে, বাঙ্গালীদের বেদম মারধর ও সন্ত্রাসীরা গুলি চালায় বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করে। এলাকাবাসীর আর্তনাদে ভারী হয়ে উঠে ঐ এলাকার পরিবেশ। 

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দরা ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছে। স্থানীয় আবুল কাশেম চেয়ারম্যান জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। প্রশাসন ঘটনাস্থলে এসেছে। আবারো সম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টকারী অপশক্তি তৎপর হয়ে উঠেছে।     

একটি সূত্র জানায়,পাহাড়িরা বাঙ্গালীদের আটকে রেখে মারধর ও গুলিবর্ষণের প্রতিবাদে ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দেয়। বিক্ষোভ করেছে স্থানীয় বাঙ্গালীরা। পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের বেধড়ক মারধরে গুরুত্বর আহত সালাহ উদ্দিনসহ ৫ জনকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা। অনেকে আবার বাড়ী ফিরেছে পালিয়ে। 

খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবদুল আজিজ বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত করে এ বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।