ইশরাকের সাথে বিয়ে হয়েই যাচ্ছে জাইমা রহমানের

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বড় মেয়ে জাইমা রহমান রাজনীতি করতে চাইলেও জাইমাকে বিএনপির প্রয়াত নেতা সাদেক হোসেন খোকার ছেলে ইশরাক হোসেনের সঙ্গে বিয়ে দিতে চান তিনি। মূলত বিএনপির পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতিতে নিজের মেয়ে জাইমা রহমানকে হুমকি মনে করেই এমন সিদ্ধান্ত নিতে চাইছেন তারেক।

গণমাধ্যমের বরাতে জানা যায়, বিএনপির এমন দুর্দিনে রাজনৈতিক কাণ্ডারি হয়ে আবির্ভূত হওয়ার সম্ভাবনা ছিলো জাইমা রহমানের। কিন্তু জাইমা রহমান রাজনীতিতে আসলে দলে নিজের প্রভাব কমে যাবার চিন্তায় তারেক চাইছেন জাইমাকে বিয়ে দিয়ে ইশরাকের ঘরে পাঠাতে।

এদিকে জানা যায়, পূর্বে ইশরাকের সঙ্গে আন্তরিক সম্পর্ক ছিলো জাইমা রহমানের। এমনকি জাইমা রহমানের বিশেষ আবদার-অনুরোধে পুরান ঢাকায় আধিপত্য ইশরাকের হাতে সমর্পণ করা হয়। এক বছর আগে সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইশরাকের লজ্জাজনক হার ও একাধিক নারীর সাথে প্রেমের গুঞ্জনে ইশরাকের সঙ্গে জাইমার সম্পর্ক ভেঙে যায়। যদিও পরবর্তীতে নিজের ভুল বুঝতে পেরে জাইমাকে পেতে ব্যাকুল হয়ে ওঠেন ইশরাক। যার কারণে তারেক রহমানের কাছে জাইমাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন ইশরাক হোসেন।

অপরদিকে, তারেক রহমান জাইমাকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে বিএনপিতে নিজের অবস্থান শক্ত করতে চান বিধায় ইশরাকের প্রস্তাবে রাজি হয়ে যান তিনি। তবে ইশরাকের চরিত্র সম্পর্কে অবগত হয়ে আপাতত তাকে বিয়ে না করে রাজনীতি করতে চান জাইমা।

জাইমা রহমানের রাজনীতি প্রসঙ্গে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর সঙ্গে কথা হলে তিনিও জাইমা রহমানের রাজনীতিতে আসার বিষয়কে সমর্থন দেন।

জাইমা রহমানের বিয়ে প্রসঙ্গে তারেক রহমানের স্ত্রী জোবায়দা রহমানের একটি ঘনিষ্ঠ সূত্রের বরাতে জানা যায়, মূলত জোবায়দা রহমানও চান জাইমা রহমানকে বিয়ের পিড়িতে বসিয়ে দিতে। কারণ জাইমা রহমানের বিয়ে হলে গেলে বিএনপির চেয়ারপারসন হিসেবে যোগ্য দাবিদারে তার নামটিও চলে আসে।

এ প্রসঙ্গে যুক্তরাজ্যভিত্তিক তারেক রহমানপন্থী একটি সূত্র বলছে, বিএনপির নেতৃত্ব দখলের লোভে নয় বরং জাইমার ভালোর জন্যই তাকে বিয়ে দিতে চান তারেক রহমান। জাইমার বিয়ে হয়ে সংসারী হলে রাজনৈতিক বিষয়টি খুব সহজেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন তারেক রহমান। তাই খুব শিগগিরই বিয়ে হচ্ছে ইশরাক ও জাইমা রহমানের।