সশস্ত্র বাহিনী দিবস
দেশের শান্তি রক্ষা যাদের হাতে
দৈনিক খাগড়াছড়ি
প্রকাশিত: ২০ নভেম্বর ২০২০
সশস্ত্র বাহিনী দিবস আগামী কাল শনিবার। স্বাধীনতাযুদ্ধ চলাকালে ১৯৭১ সালের এই দিনে সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর সমন্বয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে গঠিত হয়েছিল বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী। অতঃপর ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ-ভারতের সেনাদের নিয়ে গড়া মিত্রবাহিনীর কাছে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর প্রায় তিরানব্বই হাজার সেনা আনুষ্ঠানিকভাবে রেসকোর্স ময়দানে আত্মসমর্পণ করে। এ আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়েই বিশ্ব মানচিত্রে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের পাশাপাশি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ-এর পরিসমাপ্তি ঘটে।
দিবসটি যথাযথ মর্যাদায় উদ্যাপন করা হচ্ছে। দেশের সব সেনানিবাস, নৌঘাঁটি ও বিমানবাহিনী ঘাঁটির মসজিদগুলোতে দেশের কল্যাণ, সমৃদ্ধি এবং সশস্ত্র বাহিনীর উত্তরোত্তর অগ্রগতি কামনা করে ফজরের নামাজ শেষে বিশেষ মোনাজাতের মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচি শুরু হচ্ছে। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
আগে তিন বাহিনী ভিন্ন ভিন্ন দিনে দিবসটি পালন করত। আশির দশকের মাঝামাঝি সময় থেকে তিন বাহিনী দিবসটিকে সম্মিলিতভাবে পালন করার সিদ্ধান্ত নেয়। সেই থেকে ২১ নভেম্বরকে সশস্ত্র বাহিনী দিবস হিসেবে পালন করা হচ্ছে। সশস্ত্র বাহিনী দিবস পালনের পেছনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা জড়িয়ে রয়েছে। মুক্তিযুদ্ধে সশস্ত্র বাহিনীর অবদানকে সাধারণ মানুষের আত্মত্যাগের সঙ্গে একীভূত করে নেওয়াই এই দিবসের মূল তাত্পর্য।
বাঙালি জাতিকে স্বাধিকার আদায়ে উদ্বুদ্ধ এবং প্রস্তুত করে ১৯৭১ সালের ২৬ শে মার্চ রাতে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বাঙালি সেনা, ছাত্র, ও সাধারণ জনতার সমন্বয়ে গড়ে ওঠে একটি সামরিক বাহিনী। শুরু হয় দুর্বার মুক্তিযুদ্ধ। ১৯৭১ সালে গঠিত অস্থায়ী মুজিবনগর সরকার এম এ জি ওসমানীকে মুক্তিবাহিনীর প্রধান সেনাপতি হিসেবে নিয়োগ দেন। সমন্বিতভাবে যুদ্ধ পরিচালনার জন্য পুরো দেশকে ১১টি সেক্টরে ভাগ করা হয়। জুলাইয়ে গঠন করা হয় ৩টি নিয়মিত ব্রিগেড জেড ফোর্স, এস ফোর্স ও কে ফোর্স। মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের ৫টি ব্যাটালিয়ন ছাড়াও যুদ্ধ চলাকালে আরো ৩টি ব্যাটালিয়ন প্রতিষ্ঠা করা হয়।
মুক্তিযুদ্ধে পদ্মা ও পলাশ নামের দুটি গানবোট এবং নৌ কমান্ডোদের নিয়ে যাত্রা শুরু বাংলাদেশ নৌবাহিনীর। তারা ১০ নন্বর সেক্টরের অধীনে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়। ফ্রান্সের প্রশিক্ষণ থেকে পালিয়ে আসা ৮ বাংলাদেশি ও দেশে থাকা নাবিকদের নিয়ে তৈরি হয় নৌ-কমান্ডো। আগস্টের মাঝামাঝি চট্টগ্রাম, মংলা, চাঁদপুর এবং নারায়ণগঞ্জে অপারেশন জ্যাকপটে অংশ নেন তারা। পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর ২৬টি জাহাজ ধ্বংস এবং সমুদ্রপথ অচল করে দেয় এ বাহিনী।
বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর সূচনা হয় ১৯৭১ এর ২৮শে সেপ্টেম্বর ভারতের নাগাল্যান্ডের ধীমাপুর ঘাঁটিতে। ১০ জন পাইলট, ৬৭ জন টেকনিশিয়ান, ১টি এলয়েড থ্রি হেলিকপ্টার, ১টি অটার ও ১টি ড্যাকোডা উড়োজাহাজ নিয়ে গঠন করা হয় এ বাহিনী। মুক্তিযুদ্ধের শেষভাগে পাকিস্তানি লক্ষ্যবস্তুসমূহের ওপর ৫০টি সফল হামলা চালায় কিলো ফ্লাইট নামে কাজ শুরু করা বাংলাদেশ বিমানবাহিনী।
মুক্তিযুদ্ধ বেগবান করতে ১৯৭১ সালের ২১ শে নভেম্বর বাংলাদেশের সেনা, নৌ, বিমান বাহিনী এবং ভারতীয় মিত্র বাহিনী সম্মিলিত ভাবে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে আক্রমণ শুরু করে। স্থল-নৌ ও আকাশ পথে ত্রিমুখী আক্রমণে খুলে যায় বিজয়ের পথ। পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী পিছু হটতে বাধ্য হয়। ১৬ই ডিসেম্বর বাংলাদেশ চূড়ান্ত বিজয় লাভ করে। ৮০’র দশকের মাঝামাঝি থেকে প্রতি বছর ২১শে নভেম্বর সশস্ত্র বাহিনী দিবস পালন করা হয়।
করোনা ভাইরাসের কারণে বদলে গেছে আমাদের জীবন। আনন্দ-বেদনায়, সংকটে, উৎকণ্ঠায় কাটছে সময়। আপনার সময় কাটছে কিভাবে? লিখে পাঠাতে পারেন আমাদের। এছাড়া যেকোনো সংবাদ বা অভিযোগ লিখে পাঠান এই ইমেইলেঃ [email protected]
- রামগড় ব্যাটালিয়ন কর্তৃক লাখ টাকার কাঠ জব্দ
- হারানো মোবাইল উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকের কাছে হস্তান্তর করল পুলিশ
- দীঘিনালায় প্রধান শিক্ষক শূন্য ৩০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়
- কল্পনা চাকমা অপহরণ মামলা খারিজ
- মাটিরাঙ্গায় নির্যাতনের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন গৃহকর্মীর
- ডিজিটাল জরিপকালে জমির মালিকদের জানাতে হবে- ভূমিমন্ত্রী
- সেই দুই ইউপি চেয়ারম্যান পদে থেকেই উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন
- বিমানবন্দর-গাজীপুর বিআরটি করিডোরের জন্য কেনা হচ্ছে ১৩৭টি এসি বাস
- ঢাকার পয়ঃবর্জ্য ও গ্যাস লাইন পরীক্ষায় কমিটি গঠনের নির্দেশ
- আমানতের মুনাফার ওপর কর দিতে হবে না
- বেনজীরের দুর্নীতি: দুই মাসের মধ্যে অগ্রগতি প্রতিবেদন চান হাইকোর্ট
- ৯ মাসে রাজস্ব আয়ে ১৫.২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন
- সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস কাতারের আমিরের
- কাতারের সঙ্গে ১০ চুক্তি-সমঝোতা সই
- পুড়ছে সড়ক, তবু অবিরাম কাজ তাদের
- জাহাজেই দেশে ফিরবেন এমভি আবদুল্লাহর ২৩ নাবিক
- ব্যাংক ডাকাতি রোধে যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে
- প্রধানমন্ত্রী জাতীয় সংসদের সব উন্নয়নের পৃষ্ঠপোষক: স্পিকার
- ঢাকা ছাড়লেন কাতারের আমির, গেলেন নেপাল
- আজ ব্যাংককের উদ্দেশে রওনা দেবেন প্রধানমন্ত্রী
- কাতারের আমিরকে আরও কর্মী নেয়ার আহ্বান রাষ্ট্রপতির
- বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগ চাইলেন রাষ্ট্রপতি
- খাগড়াছড়িতে ক্রিকেট লীগ ও ভলিবলের ফাইনাল অনুষ্ঠিত
- পানছড়ি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কাকে ভোট দিবে আওয়ামী লীগ?
- খাগড়াছড়িতে ৩ উপজেলার ৬ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল
- প্রথম ধাপের চার উপজেলার প্রার্থীরা পেলেন প্রতীক
- দীঘিনালা জোন কর্তৃক বিনামূল্যে স্বাস্থ্য সেবা ক্যাম্প পরিচালনা
- মুক্তিযুদ্ধ ও মুজিবনগর সরকার নিয়ে গবেষণার আহ্বান
- গ্যাস খাতে বড় সংস্কার করবে পেট্রোবাংলা
- বাংলাদেশ থেকে দক্ষ জনশক্তি নিতে চায় কিরগিজস্তান
- ২৩ বিজিবি ব্যাটালিয়নের ৪৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
- বিলুপ্তির পথে পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন প্রজাতির বন্যপ্রাণী
- লক্ষ্মীছড়িতে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন চার প্রার্থী
- খাগড়াছড়িতে ক্রিকেট লীগ ও ভলিবলের ফাইনাল অনুষ্ঠিত
- ডিজিটাল জরিপকালে জমির মালিকদের জানাতে হবে- ভূমিমন্ত্রী
- পুড়ছে সড়ক, তবু অবিরাম কাজ তাদের
- দীঘিনালা জোন কর্তৃক বিনামূল্যে স্বাস্থ্য সেবা ক্যাম্প পরিচালনা
- হারানো মোবাইল উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকের কাছে হস্তান্তর করল পুলিশ
- চার বছরেও শেষ হয়নি দীঘিনালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নির্মান
- লক্ষ্মীছড়িতে অসহায়দের মাঝে সেনাবাহিনীর মানবিক সহায়তা প্রদান
- বান্দরবানে সেনা অভিযানে কেএনএফ সদস্য নিহত
- পানছড়ি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কাকে ভোট দিবে আওয়ামী লীগ?
- খাগড়াছড়িতে নাগরিক পরিষদের দায়িত্বে লোকমান-মাসুম
- সাবেক আইজিপি বেনজীরের সম্পদ অনুসন্ধানে দুদক
- নতুন করে ৩ দিনের হিট অ্যালার্ট জারি
- রেলস্টেশনে বসেছে ভেন্ডিং মেশিন, যাত্রীরাই কাটবে নিজের টিকিট
- দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদন
- কাতারের সাথে ৬ চুক্তি, ৫ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের সম্ভাবনা
- মুক্তিযুদ্ধ ও মুজিবনগর সরকার নিয়ে গবেষণার আহ্বান
- ঢাকা উত্তরের বাসাবাড়িতে মশার লার্ভা পেলে জেল-জরিমানা